নয়াদিল্লি: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। গোটা মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণের কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠেছে ইন্দোর। সেখানে মৃত্যুর হার বেড়ে ১২ শতাংশ হয়েছে, যা সারা দেশে সর্বোচ্চ। এই গভীর উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর মোকাবিলায়  ইন্দোরের ২৮ লক্ষ বাসিন্দারই ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগ ও তীব্র শ্বাসজনিত অসুস্থতার (সার্স) পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশ সরকার।


একটি সূত্রের খবর, ৫ দিন ধরে রাজ্যের সবচেয়ে বড়, জনবহুল শহরের বাসিন্দাদের টেস্ট করা হবে। ইতিমধ্যে সেখানকার ৭ লক্ষ বাসিন্দার স্ক্রিনিং করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।


১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, মুম্বই, নয়াদিল্লির পর সারা দেশে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে ইন্দোরে।


এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের ব্যাপার  হল, এখানকার অধিকাংশ আক্রান্তেরই বিদেশযাত্রার কোনও ইতিহাস নেই।  ফলে তাঁদের দেহে  ভাইরাস ছড়ানোর উত্স কোথায়, বুঝতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। বুধবার থেকে নতুন করে ২৯৮টি করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার ঘটনার খবর এসেছে। গোটা মধ্যপ্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস পজিটিভ সেখানেই। ৮৪২ টি।


এর মধ্যেই আইআইএম, ইন্দোরের এক পরিসংখ্যান নির্ভর স্টাডিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, আগামী মে মাসে মধ্যপ্রদেশে এই অতিমারী সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠবে, পরিস্থিতি সামলাতে অন্তত হাসপাতালগুলিতে আরও অন্তত ২৭০০০ শয্যার ব্যবস্থা করতে হবে।