পুণে:  বাতিল নোট নিতে অস্বীকার হাসপাতালের, মৃত্যু হল সদ্যোজাতের। ঘটনাটি ঘটেছে পুণের কেইএম হাসপাতালে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা ছিল যে হাসপাতালগুলিতে আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট লেনদেনের জন্যে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু সেকথা যে বাস্তবে কার্যকর হয়নি, তা আরও একবার স্পষ্ট হল এই ঘটনা থেকে।


হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল সদ্যোজাতের। রুবি হল ক্লিনিক নামের পুণের এক হাসপাতালে শিশুটির অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরো টাকা না নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে রাজি হয়নি। সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্যেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক টাকা পুরনো বাতিল নোটে দিতে চেয়েছিলেন, অর্ধেক টাকার ব্যবস্থা তাঁরা করে ফেলেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই অর্ধেক টাকাও বাতিল নোটে নিতে অস্বীকার করায়, শেষপর্যন্ত বাঁচানো যায়নি সেই সদ্যোজাতকে।

সদ্যোজাতের বাবা-মায়ের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় জানিয়েছেন, চিকিৎসক তাঁদের জানিয়ে ছিলেন বাচ্চাটির হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের জন্যে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা লাগবে। রুবি হল ক্লিনিক হাসাপাতালে চিকিত্সা শুরুর আগে পুরো টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিশুটির পরিবারের সদস্যেরা, এক লক্ষ টাকা পুরনো বাতিল নোটে দিতে চেয়েছিলেন। এবং কিছু টাকা তাঁরা চেকে ও কার্ডে দিতে প্রস্তুত ছিলেন, জানিয়েছেন সেই আত্মীয়। সেকথাও শোনেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এরপর বাচ্চাটির পরিবার অনুরোধ করেন, তাঁরা এক লক্ষ টাকা কারেন্ট চেকে দিতে চান, তিরিশ হাজার টাকা কার্ডে দিতে চান। আর অর্ধেক টাকাটা অপর একটি চেক মারফত্ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। তার জন্যে তাঁরা সোমবার অবধি সময় চেয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও কথাই শুনতে রাজি হয়নি। যারফলে কিছু অমূল্য সময় নষ্ট হয়ে যায়। এরপর শিশুটিকে নিয়ে কেইএম হাসাপতালে আসে তার পরিবারের লোক, কিন্তু শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় সেই সদ্যোজাতের।

শিশুটিকে কেইএম হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এবিষয় রুবি হল ক্লিনিকের ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সদ্যোজাতের পরিবারের দায়ের করা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।