লখনউ: উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে রেল বা কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ না করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হোক বলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন মায়াবতী।


এদিনই উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষণা অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়া-- এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনী প্রার্থীপদের মনোনয়ণ প্রক্রিয়া শুরু ৪ ফেব্রুয়ারি, চলবে আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত। অন্যদিকে, রেল ও সাধারণ বাজেট পেশ হওয়ার কথা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।


এদিন বহুজন সমাজ পার্টির তরফে পেশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারকে নিষেধ করতে যাতে ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট পেশ না করা হয়। বলা হয়েছে, ঠিক যেমন ২০১২ সালে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বাজেট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তেমন এবারও যেন করা হয়।


দলের সুপ্রিমো মায়াবতী জানান, বাজেটের ফলে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন। ফলে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাশি, বিজেপি, কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির ওপর কঠোর নজর রাখার অনুরোধও কমিশনকে করেন মায়াবতী।


তিনি বলেন, সব দল যাতে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা নির্বাচন আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলে, সেই দিকে নজর রাখার প্রয়োজন কমিশনের। মায়াবতীর অভিযোগ, এই দলগুলি আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে ‘সিদ্ধহস্ত’, যেমনটা লক্ষ্য করা গিয়েছিল ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে।


এদিন উত্তরপ্রদেশে সাত দফা নির্বাচন-পর্বের ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নসীম জঈদি। এই বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে মায়াবতী অভিযোগ করেন, রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে চলেছে অখিলেশ যাদব নেতৃত্বাধীন সপা সরকার। তাঁর আশঙ্কা, তদারকি সরকারও এমনটাই করতে পারে। ফলে, রাজ্যে যথাসম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর দাবিও তোলেন মায়াবতী।


এদিন মায়াবতী জানিয়ে দেন, উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও উত্তরাখণ্ড এবং পঞ্জাবে একার ক্ষমতায় লড়বে বিএসপি।