নয়াদিল্লি: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল ১৫ মাস আগেই! জানালেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরীর্কর।


বর্তমানে গোয়ার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পরীর্কর এক সাক্ষাত্কারে ২০১৫-র ৪ জুন মনিপুরের চান্দেলে সেনা কনভয়ের ওপর নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী এনএসসিএন-কে এর হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে জানান, ঘটনাটির কথা জেনে আঁতে ঘা লেগেছিল তাঁর। অপমান বোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, মাত্র ২০০টা লোকের একটা জঙ্গি বাহিনী কি না ১৮টা ডোগরা জওয়ানকে মেরে দিয়ে গেল! ভারতীয় সেনার অপমান এটা। দুপুর, সন্ধ্যায় আলোচনায় বসে আমরা প্রথম সার্জিক্যাল হামলার প্ল্যান কষে ফেলি। ৮ জুন সকালের সেই হামলায় প্রায় ৭০-৮০ টা সন্ত্রাসবাদী খতম হয় ভারত-মায়ানমার সীমান্তে। দারুণ সফল ছিল সেই অপারেশন। একজন মাত্র সেনা পায়ে জোঁকের কামড় খান। এ বাদে কোনও সেনার আঘাত লাগেনি। এমনকী হেলিকপ্টার জরুরি পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখা হয়েছিল, কিন্তু নামানো হয়নি।

কিন্তু টিভির পর্দায় যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাকর্মী রাজ্যবর্ধন রাঠোর এ ধরনের অভিযানের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করছিলেন, তখন জনৈক অ্যাঙ্করের 'পশ্চিম সীমান্তেও এমন অভিযান চালানোর সাহস, ক্ষমতা কি আপনাদের আছে?' এই প্রশ্ন আমায় খোঁচা দিয়ে যায়। সেদিন কথাটা হজম করে নিই, তবে ঠিক করি সময় এলেই জবাবটা দেব। ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল হানার প্ল্যান শুরু হয় ২০১৫-র ৯ জুন, ১৫ মাস আগে। অতিরিক্ত বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সামরিক সরঞ্জাম জোগাড় করা হয়।

পরীর্কর জানান, ডিআরডিও-র তৈরি স্বাতী ওয়েপন লোকেটিং রাডার প্রথম ব্যবহার করা হয় ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে, পাক সেনার ফায়ারিং ইউনিটের হদিস পেতে, যদিও সরকারিভাবে ওই রাডার সেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় তিন মাস বাদে। ওই রাডারের জোরে পাক বাহিনীর ৪০টি ফায়ারিং ইউনিট গুঁড়িয়ে দেয় সেনা।