সূত্রের দাবি, লাইনে মেরামতির কাজ চললেও, সম্ভবত উৎকল এক্সপ্রেসের চালকের কাছে তা নিয়ে কোনও তথ্যই ছিল না। ফলে চালক ট্রেনের গতি কমাননি এবং ওই জায়গা দিয়ে যেতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। এই ঘটনা সামনে আসার পর বিস্মিত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের প্রশ্ন, রেললাইনে কাজ চলার সময় যাতে সেখান দিয়ে ট্রেন না যায়, সেজন্য তো আলাদা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা! এক্ষেত্রে তা হয়নি কেন?
রেলের এতবড় গাফিলতি সামনে আসার পর সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। রেলের গাফিলতিতে এতগুলো প্রাণ যাওয়ার পরও কেন মোদী সরকারের রেলমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা।
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার প্রথমে এই ঘটনায় নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডকে। যদিও পরে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব এবিপি আনন্দর খবরে সিলমোহর দিয়ে জানান, প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ দেখে এটা নাশকতার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। লাইনে মেরামতির কাজ চলছিল। কর্মীদের এব্যাপারে জানানো উচিত ছিল আগে। চালক ইমার্জেন্সি ব্রেক কষার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে।