নয়াদিল্লি: সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আইসিস-এর হয়ে তহবিল তোলা, লোকজন নিয়োগের জন্য অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অপরাধ কবুল দুজনের। একজন জম্মু ও কাশ্মীরের ২৪ বছর বয়সি আজহার-উল-ইসলাম, অপরজন মহারাষ্ট্রের ২৫ বছর বয়সি মহম্মদ ফারহান শেখ। দুজনকেই সাত বছরের কারাবাসের সাজা দেয় বিশেষ আদালত।
জেলা বিচারক অমর নাথ তাদের দোষী সাব্যস্ত করে অবশ্য বলেন, নিঃসন্দেহে ওরা একটা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য ছিল, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপেও জড়িয়ে পড়েছিল। ভুল পথে চালিত হয়ে বা মানসিকভাবে পরিণত না হওয়ার দরুণ, পরিস্থিতির প্রভাবে ওরা হয়ত ভুল করেছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ওরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে, কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়। সুতরাং আদালতের উচিত ওদের দোষ মেনে নেওয়ার ইতিবাচক দিকটি মাথায় রাখা। দোষীদের নিজেদের শুধরে নিয়ে দেশের সুনাগরিক হয়ে ওঠার একটা সুযোগ পাওয়া উচিত। ওদের সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে খানিকটা নমনীয়তা দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে তাতে যেন সমাজের কাছে ভুল বার্তা না যায়, সেটা দেখাও প্রয়োজন।
আদালত ওদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার পর দুজনেই অবস্থান বদলে আইনজীবী মারফত্ আবেদন পেশ করে জানায়, যেসব কার্যকলাপের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে, তাতে জড়িত ছিল বলে তারা অনুশোচনায় ভুগছে। তাদের নামে অতীতে অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড নেই। তারা মূলস্রোতে ফিরতে চায়। সমাজের ভাল কাজে আসতে চায়, নিজেদের জায়গা করে নিতে চায় সেখানে। কোনও চাপের প্রভাবে তারা এ কথা বলছে না, আবেদনে সেটাও বলা হয়।