Pakistanনয়াদিল্লি: পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তকে নিশ্ছিদ্র করতে ইজরায়েলি ফেন্সিং সিস্টেম লাগাচ্ছে ভারত। এই সিস্টেমের নিজস্ব ‘কুইক রেসনপ্স টিম’ মেকানিজম রয়েছে, যা অনুপ্রবেশ হওয়া-মাত্র সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাগ্রহণ করে।


আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তের সর্বত্র কাঁটাতারে মুড়ে ফেলতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী প্রশাসনের ইচ্ছানুসারে সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করতে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কম্প্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।


দুটি সীমান্ত মিলিয়ে মোট প্রায় সাড়ে ৬,৩০০ কিলোমিটার পাহারা দেয় বিএসএফ। সম্প্রতি, বিএসএফ ডিজি কে কে শর্মা এক সাক্ষাৎকারে জানান, নতুন সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা দেশের নিরাপত্তায় এক দৃষ্টান্তমূলক বদল আনবে। তিনি বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি অনেকটাই দ্রুত এবং ক্ষিপ্র হবে।


শর্মা বলেন, বর্তমানে বিএসএফ-এর বিভিন্ন টিম বিভিন্ন জায়গায় প্যাট্রলিং করে। এখন এমন এক অত্যাধুনিক কিউআরটি-নির্ভর সিস্টেমকে মোতায়েন করার ভাবনা হচ্ছে যা আগে কখনও পরীক্ষা করা হয়নি। তিনি যোগ করেন, নতুন সিস্টেমের মধ্যে বিভিন্ন যান্ত্রিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।


তিনি জানান, ফেন্সিংয়ে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ফিড (ভিডিও) সরাসরি চলে যাবে বর্ডার আউটপোস্টে। সেখানে মনিটর থাকবে। তাতে সব উঠবে। মনিটরের মাধ্যমে সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হবে। অর্থাৎ, জওয়ানদের আর বেশি বাইরে পাহারা দিতে হবে না। আবার, নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে না। শর্মা জানান, কোনও অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ঘটলেই, সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই সঙ্কেত মনিটারে পৌঁছে যাবে।


অনুপ্রবেশের সময় কাঁটাতারের সঙ্গে সংস্পর্শে এলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। সিস্টেম জানিয়ে দেবে, ঠিক কোথায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো হয়েছে। নিকটবর্তী পোস্ট থেকে বাহিনী পাঠিয়ে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জম্মুতে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ করে দুটি জায়গা করে এই নতুন ব্যবস্থার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


শর্মা জানান, এখন জওয়ানরা সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে প্রযুক্তি পাহারা দেবে। বাহিনী স্রেফ অভিযানে অংশ নেবে। যদিও, তিনি মনে করেন, জওয়ানদের প্যাট্রলিং একেবারে উঠে যাবে না। বিএসএফ সূত্রে খবর, আরও চারটি জায়গায় এই বিশেষ সিস্টেম বসানো হবে। সেগুলি হল—পঞ্জাব ও গুজরাতে ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্ত, এবং ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।