নয়াদিল্লি: ইংরাজি নতুন বছরের প্রথম ‘মন কি বাত’-এ ভারতে প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলাদের উন্নতি এবং এদেশের ঐতিহ্যে নারীর সম্মানের কথা উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রয়াত মহাকাশচারী কল্পনা চাওলার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি কল্পনার মৃত্যুবার্ষিকী। তার আগে মোদী বলেছেন, ‘কল্পনা বার্তা দিয়েছেন, প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে মহিলাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।’প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা হিসেবে মহাকাশে যান কল্পনা। ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কলম্বিয়া মহাকাশযান ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কল্পনা সব ভারতীয়র জন্য মূল্যবান বার্তা দিয়েছেন। বিশেষ করে তরুণীদের জন্য তাঁর বার্তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সারা বিশ্বের মহিলাদের অনুপ্রাণিত করেছেন।’

বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীশক্তির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটি মেয়ে ১০টি ছেলের সমান। ১০টি ছেলের কাছ থেকে আমরা যে পূণ্য অর্জন করি, সেটা একটি মেয়ের কাছ থেকেই পেতে পারি। তিন তরুণী ভাবনা কান্ত, মোহনা সিংহ ও অবনী চতুর্বেদী যুদ্ধবিমানের পাইলট হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা এখন সুখোই-৩০ চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁরা প্রথম মহিলা হিসেবে সুপারসনিক যুদ্ধবিমান চালাবেন।’

ছত্তিসগঢ়ের মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলের যে মহিলারা ই-রিকশা চালাচ্ছেন, তাঁদেরও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এই উদ্যোগ একদিকে যেমন পরিবেশবান্ধব, তেমনই এর ফলে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে। পণপ্রথা, বালিকা বিবাহ, মদের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য মানববন্ধন গড়ে তোলায় বিহারের সাধারণ মানুষ ও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদী। তিনি আরও বলেছেন, পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের ক্ষেত্রে গত তিন বছরে নামের চেয়ে কাজকর্মকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। অনেক সাধারণ মানুষ যাঁরা বড় শহরে থাকেন না, সংবাদমাধ্যমে নাম দেখা যায় না, তাঁরা এবার পদ্ম পুরস্কার পেয়েছেন। এখন পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে অনলাইনে। এর ফলে স্বচ্ছতা এসেছে। যে কেউ যে কারও নাম পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পারেন।