বিজেপি নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির অভিযোগ সম্পর্কে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেছেন, রাহুল গত ৭০ বছরে দেশের সাফল্যের কথা বলেছেন। যদি তিনি প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে থাকেন, তাহলে কারুর আপত্তির কিছু থাকতে পারে না। কারণ, এটাই গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেছেন, রাহুলের মন্তব্যের যে সমালোচনা বিজেপি ও সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে তা অবাঞ্ছিত ও অযৌক্তিক। এ ব্যাপারে স্মৃতি যে সমালোচনা করেছে তা ইতিহাস সম্পর্কে তাঁর অজ্ঞতা ও প্রধানমন্ত্রীর হয়ে সাফাই গাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছে।
এদিন প্রেস বিবৃতিতে স্মৃতি বলেছেন, রাহুল গাঁধী প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করেছেন, এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই, বরং এটা প্রত্যাশিতই। ওঁর কৌশল যে ব্যর্থ, এ তারই ইঙ্গিত। ভারতে মানুষ আর ওঁকে সমর্থন করছেন না, তাই বিদেশে গিয়ে ব্যথার কথা বলতে হচ্ছে!
এই মন্তব্যের সমালোচনা করে আনন্দ শর্মা বলেছেন, বিদেশের মাটিতে ভারতকে ‘অপমান’ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে গিয়ে দেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন। আনন্দ শর্মার আরও অভিযোগ, বেশ কয়েকবারই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, বিদেশে নিজেদের ভারতীয় বলে পরিচয় দিতে ভারতীয়রা লজ্জিত বোধ করেন।
কংগ্রেস নেতা আরও বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুলের মন্তব্যের প্রতিবাদে যেভাবে বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাতে তাদের সমালোচনার প্রতি অসহিষ্ণুতার মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে নোট বাতিল, জিএসটি-র মতো ‘বেহিসেবী, বিপজ্জনক’ সিদ্ধান্ত নিয়ে মোদী ভারতীয় অর্থনীতির ‘বিরাট ক্ষতি করেছেন’ বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল। তিনি আরও বলেছেন, দেশে প্রতিদিন ৩০ হাজার কর্মপ্রার্থী তৈরি হচ্ছে। সেখানে সরকার দিনে মাত্র ৫০০ টি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারছে।