নয়াদিল্লি: মহিলা ক্ষমতায়ণের নতুন দৃষ্টান্ত। চিন-সীমান্ত লাগোয়া দু্র্গম স্থানে প্রহরারত জওয়ানদের কাছে গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য মহিলা অফিসার নিয়োগ করল আধা-সামরিক বাহিনী ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত বাহিনী (আইটিবিপি)।

জানা গিয়েছে, চিন-সীমান্ত লাগোয়া বাহিনীর বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি)-তে অ্যাক্সিস অফ মেনটেন্যান্স(এওএম)-এর দায়িত্বে নিয়োগ করেছে মহিলা অফিসারদের।

প্রসঙ্গত, এই দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বের। কারণ, আইটিবিপি যেখানে মোতায়েন রয়েছে, সেই বিওপি-গুলি সমুদ্রপৃষ্ঠের ৯ হাজার থেকে ১৯ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।

সেখানে প্রহরারত জওয়ানদের কাছে সামগ্রী পৌঁছে দেবেন মহিলা অফিসাররা। এই দুর্গম স্থানে কোনও গাড়ি চলতে পারে না। ফলে, মাল বহনের জন্য বাহিনীর ভরসা টাট্টু, খচ্চর এবং চমরীগাই।

এই জন্তুদের ওপর চাপিয়ে জওয়ানেদের কাছে পৌঁছয় গোলাবারুদ থেকে শুরু করে খাদ্য, পানীয় জল এবং আরও প্রয়োজনীয় জিনিস। বাহিনীর মতে, এই জিনিস না পৌঁছলে জওয়ানরা অকেজো হয়ে পড়বে।

উদাহরণস্বরূপ, শীতের সময় মহিলা অ্যসিস্টেন্ট কম্যান্ডান্টের নেতৃত্বে টাট্টু ঘোড়ায় চেপে পানীয় জল জমানো বরফের ব্লক পৌঁছে দেওয়া হয়, যাতে জওয়ানরা তা গলিয়ে জল খেতে পারে।

এই জন্তুদেরকে নিয়ে ওই উচ্চতায় পৌঁছতে শারীরিক্ষ সক্ষমতার প্রয়োজন। কারণ, এই উচ্চতায় বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে। ফলে, সেই দিক দিয়ে এটি একটি অত্যন্ত বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। পাশাপাশি, বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেওয়া বাহিনীর ভরসার ‘ক্র্যাক কে ৯’ সারমেয় বাহিনীর প্রশিক্ষণের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে মহিলাদের ওপর।

 

যে সময় অন্যান্য বাহিনী মহিলাদের স্থায়ী কমিশন দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, তখন আইটিবিপি মহিলাদের অ্যাসিস্টেন্ট কমানড্যান্ট হিসেবে নিয়োগ করছে। নিঃসন্দেহে, আইটিবিপি-র এই বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত বাকিদের উদ্বুদ্ধ করতে বাধ্য।