নয়াদিল্লি: কাশ্মীর শান্তির লক্ষ্যে কেন্দ্র গতকালই বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে। এ ব্যাপারে কাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে তা নিয়ে নয়া নিযুক্ত বিশেষ দূতই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

উল্লেখ্য, গতকাল আলোচনার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা দীনেশ্বর শর্মাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানান রাজনাথ। তাঁকে ক্যাবিনেট সচিবের মর্যাদা দেওয়ার কথাও জানান রাজনাথ। কার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন, তা ঠিক করার ভার তাঁর ওপরই ছাড়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে স্থায়ী আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যেই এই নিযুক্তি।

জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে। মুফতি মহম্মদ সইদের সরকার বলেছে, রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরতে পারে একমাত্র আলোচনার হাত ধরেই। জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের শরিক বিজেপিও শান্তির লক্ষ্যে আলোচনা প্রক্রিয়ায় সামিল হতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছে।

রাজ্য ও জাতীয় স্তরের অনেক রাজনৈতিক নেতা বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের সঙ্গেও আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রাজনাথ সরাসরি কোনও উত্তর দেননি। তিনি বলেছেন, কার সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন দীনেশ্বর শর্মা।

আলোচনার জন্য দূত নিয়োগ করে পাকিস্তানকে সরকার কী বার্তা দিতে চাইল, এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন রাজনাথ।

এদিকে, কংগ্রেস কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রের সদিচ্ছা নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেছে। তাদের বক্তব্য, শাসনকালের একবারে শেষলগ্নে এসে আলোচনার জন্য দূত নিয়োগ করেছে এনডিএ সরকার। প্রচার পাওয়াই এর উদ্দেশ্য বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।

কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, তাঁদের দল ও অন্যান্য বিরোধীরা বারেবারেই সরকারকে দমননীতির বদলে আস্থাবর্ধক ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ‘রাজনৈতিক সমস্যা’র সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেছিল। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি।

আজাদ বলেছেন, তাঁরা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন না। কিন্তু এনডিএ সরকারের শাসনের শেষপর্বে এই নিযুক্তির উদ্দেশ্য শুধুই প্রচার পাওয়া। তিনি আরও বলেছেন, এই সরকারের কোনও কাশ্মীর নীতি নেই। তাই সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তিনি বলেছেন, সরকার কংগ্রেসের প্রস্তাব মানলে অনেক জওয়ান, সাধারণ মানুষের অমূল্য জীবনহানি হয়ত রোখা যেত। অনেককেই হয়ত দৃষ্টিশক্তি হারাতে হত না।