ভুবনেশ্বর: জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের চাবি হারানো নিয়ে যখন দেশজুড়ে তোলপাড়, তখন এ বিষয়ে দায় অস্বীকার করলেন পুরীর রাজা গজপতি দিব্যসিংহ দেব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘১৯৬০ সালের আগে ‘রাজা সুপারিনটেন্ডেন্ট’ মন্দির প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন। তথন তিনিই রত্নভাণ্ডার ও এর চাবির সুরক্ষার বিষয়টি দেখতেন। কিন্তু ১৯৬০ সালে শ্রী জগন্নাথ মন্দির আইন জারি হওয়ার পর রাজ্য সরকারই মন্দিরের ধর্মনিরপেক্ষ ম্যানেজমেন্টের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হয়। ফলে রত্নভাণ্ডার ও চাবির সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। গজপতি রাজার কাছ থেকে সব দায়িত্ব চলে যায় প্রশাসকের হাতে। আইনানুসারে শ্রীমন্দির ম্যানেজিং কমিটি সব সিদ্ধান্ত নেয় এবং মুখ্য প্রশাসকের কাজকর্ম দেখে।’

গত ৪ এপ্রিল শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন রত্নভাণ্ডার খোলার চেষ্টা করে। কিন্তু চাবি পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় পারস্পরিক দোষারোপের পালা। মন্দিরের আধিকারিক রামক্রষ্ণ দশমহাপাত্র অভিযোগ করেন, গজপতি রাজা চাবি সুরক্ষিত রাখার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেননি। বিজেডি নেতা দামোদর রাউতও বলেন, এ বিষয়ে গজপতি রাজাকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। এরপরেই এ বিষয়ে মুখ খুললেন রাজা।

গতকালই ওড়িশা সরকার জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের চাবি হারানোর বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান নিয়োগ করেছে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঘুবীর দাসকে। এই কমিটি আগস্টে রিপোর্ট দেবে বলে জানা গিয়েছে।