জয়পুর:  'সাফল্য অর্জন করার জন্যে কখনও কোনও বিশেষ লক্ষ্য স্থির করা উচিত্ নয়। যে যেটা ভালবাসে এবং বিশ্বাস করে তা একাগ্রতার সঙ্গে করলেই সাফল্য স্বাভাবিক নিয়মে চলে আসবে।' বিখ্যাত লেখক এবং সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট-এর লেখা এই উদ্ধৃতিটি রাজস্থানের জয়পুরের ১২ বছরের আভাস শর্মার জন্যে একেবারেই উপযোগী। কারণ, সে ভালবাসত পড়াশোনা করতে। তাই মাত্র বারো বছর বয়সে রাজস্থান বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন পরিচালিত এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে এই বিষ্ময় বালক।

আভাস ৬০০-র মধ্যে ৩২৫ , মানে ৬৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে প্রথম ডিভিশনে এবছরে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে। দুবছর আগে  মাত্র দশ বছর বয়সে ৬১ শতাংশ নম্বর নিয়ে ক্লাস টেন পাস করেছিল আভাস, তখন সে একদিনেই তারকা হয়ে গিয়েছিল জয়পুর শহরের।

আভাস জানিয়েছে, পড়াশোনার জন্য কখনওই তার বাবা-মা তার ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করেনি। একদম ছোটবেলায় নার্সারিতে পড়েনি আভাস। তার পড়াশোনার জীবন শুরু ক্লাস ওয়ানে। তারপর মাঝে মাঝে লাফিয়ে দু-একটা ক্লাস বেশি প্রমোশন পায় আভাস, তার বুদ্ধির জন্যে। তবে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার খেলাও চলেছে সমান্তরাল ভাবে।

তবে আভাস জানিয়েছে, তার এই সাফল্যে বাবা-মা এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাকে প্রচুর সাহায্য করেছে। আভাসের দাবি, সে শুধুমাত্র পরীক্ষার আগের দিন রাতেই পড়েছিল, এবং নিশ্চিত ছিল যে সে সফল হবেই।

২০০৩ সালের ২৬ অগাস্ট জয়পুরে জন্ম আভাসের। বড় হয়ে তার ডাক্তার হয়ে দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্ন। কিন্তু এই বিষ্ময় বালকের শুধু একটাই আক্ষেপ সে ডাক্তারির জন্যে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা এখনই দিতে পারবে না। কারণ সেখানে বসতে গেলে নূন্যতম ১৭ বছর বয়স হতেই হবে।