এরপরই ওই ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই নার্সকে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর ওই ওয়ার্ডের আরও তিন নার্সকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য ওয়ার্ডে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। সোমবার একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তানের জন্ম দেন মায়া। সদ্যোজাতের জন্মানোর পরই শিশুটিকে হিটারের কাছে রেখে আসেন নীতু গুরজার নামের অভিযুক্ত ওই নার্স। এরপর ‘বাধাই’ হিসেবে তিনশো টাকা দাবি করেন ওই নার্স।
ঘটনাটি দেখে সদ্যোজাতের দিদিমা বাচ্চাটিকে ফেরৎ চান। কিন্তু নার্সরা বাচ্চাটিকে তার মাকে ফেরৎ দিতে অস্বীকার করেন। এরপর সদ্যোজাতের দিদিমা অভিযুক্ত নার্সকে ৩০০ টাকা ও অপর এক নার্সকে ২০০ টাকা দিয়ে কোনওমতে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। শিশুটির মুখ হাল্কা পুড়ে গেছে, তাকে এখন অন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সদ্যোজাতের বাবা অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এইমুহূর্তে নার্সের বিরুদ্ধে ৩৩৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতে, রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কালীচরণ শরফ একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। চার চিকিত্সক বিশিষ্ট ওই দল আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এবিষয় একটি রিপোর্ট জমা দেবেন।