নয়াদিল্লি: জন্মশতবর্ষ বেশ কয়েক বছর আগে কেটে গেলেও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃ্ত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও বিন্দুমাত্র কাটেনি। মোদী সরকারের প্রকাশ করা একের পর ডিক্লাসিফায়েড ফাইলও বলতে পারেনি, দেশের এই অন্যতম বীর সন্তানের শেষ সময়টা কীভাবে কেটেছিল। স্বাধীনতার ৭০ বছর কেটে গেলেও নেতাজি নিয়ে দেশের মানুষের আবেগ আর ভালবাসা এখনও কমেনি একটুও। অথচ সেই নেতাজির মৃত্যুদিন নিয়েই নয়া বিতর্ক তৈরি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ জেটলি টুইট করে বলেন, দেশের এই বীর সন্তানের মৃত্যুদিনে তাঁকে তাঁরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
দেখুন সেই টুইট


সোশ্যাল মিডিয়ার হাতে আলটপকা এমন হাতিয়ার তুলে দিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রী আর তা কারও চোখে পড়বে না তা আবার হয় নাকি? স্বাভাবিকভাবেই জেটলির মন্তব্যে শুরু হয়েছে হইচই। টুইটার প্রশ্ন তুলেছে, কোন ডিক্লাসিফায়েড ফাইলে নেতাজির মৃত্যুবৃত্তান্ত আছে? এমনও প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় সরকার কিছু গোপন করার চেষ্টা করছে কিনা।
বেগতিক দেখে টুইট ডিলিট করে দিয়েছেন জেটলি। কিন্তু ড্যামেজ যা হওয়ার তা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।


নেতাজি গবেষকরা জানাচ্ছেন, তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনার থিওরি অনুযায়ী, ১৮ অগাস্ট, ১৯৪৫-এ তাইওয়ানে মারা যান নেতাজি। কিন্তু ২০০৫-এই সেই থিওরি উড়িয়ে দিয়েছে খোদ তাইওয়ান সরকার। জানিয়ে দিয়েছে, সে বছর ১৪ অগাস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাইওয়ানের আকাশে কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে জেটলি বড় গলায় নেতাজির মৃত্যুদিনের কথা ঘোষণা করলেন কীসের ভিত্তিতে?