পাক কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা 'রাজনৈতিক হঠকারিতা', কোন প্রেক্ষাপটে ডিনার-বৈঠক, ব্যাখ্যা দিন মনমোহন, দাবি জেটলির
Web Desk, ABP Ananda | 11 Dec 2017 09:04 PM (IST)
নয়াদিল্লি: গুজরাত বিধানসভা ভোটের ফল প্রভাবিত করতে পাকিস্তান নাক গলাচ্ছে, সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস নেতা মনিশঙ্কর আয়ারের বাসভবনে হওয়া বৈঠকে পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে গুজরাতের ভোট নিয়ে আলোচনা করেছেন ইউপিএ জমানার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান দীপক কপূর, খোদ নরেন্দ্র মোদীর এই অভিযোগ কেন্দ্র করে উথালপাতাল জাতীয় রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী 'মিথ্যাচার করছেন', তিনি 'ব্যথিত' বলে জানিয়ে তাঁকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি করেছেন মনমোহন। তবে তা নাকচ করে দিয়ে পাক কূটনীতিকদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের বৈঠককে অরুণ জেটলি 'রাজনৈতিক হঠকারিতা' বলে আখ্যা দিলেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছিল, মনমোহন ও কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে তা জানানোর দাবি তোলেন। তিনি বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যে ট্র্যাক রেকর্ড আছে, তা অতীতের কোনও সরকারের নেই। জেটলি বলেন, সন্ত্রাস আর আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না, এই জাতীয় নীতি যারা লঙ্ঘন করেছে, ক্ষমা তাদের চাওয়া উচিত। পাক কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় লাইন ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করে জেটলি দাবি করেন, কোন প্রেক্ষাপটে, কী প্রয়োজনে ওই বৈঠক হয়েছিল, সেই ব্যাখ্যা দিতে হবে মনমোহনকে। বলেন, আলোচনা আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না, বিরোধী দলও এই জাতীয় নীতি মেনে চলবে, এটাই প্রত্যাশিত। তাঁর প্রশ্ন, প্রধান বিরোধী দল কি রাষ্ট্রের অংশ নয়। কেউ জাতীয় লাইন অগ্রাহ্য করলে তাঁকে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। এটা রাজনৈতিক হঠকারিতা, এর রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে।