চেন্নাই:দিনভর ব্যাপক অশান্তির পর সোমবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ু বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল জাল্লিকাট্টু বিল। এর ফলে ভবিষ্যতে ষাঁড়কে বশে আনার এই চিরাচরিত খেলার সামনে কোনও বাধা থাকবে না।  জাল্লিকাট্টুর অনুমতি দিয়ে দুদিন আগেই জারি হয় অর্ডিন্যান্স। সেই অর্ডিন্যান্স  সরিয়ে ১৯৬০ সালের জীবজন্তুর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ আইনে সংশোধন করতে বিকেলে নতুন বিলটি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভম। তা ধ্বনিভোটে পাশ হয়। বিলে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চিরাচরিত প্রথা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি পালন করাই ষাঁড়দের নিয়ে জাল্লিকাট্টু খেলাটি হয়।

তার আগে জাল্লিকাট্টু নিয়ে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে তামিলনাড়ু জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন ফের হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। মেরিনা বিচে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং ধরপাকড় শুরু করতেই আন্দোলনকারীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আইস হাউস থানা এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। ১৫০ জনকে আটক করে পুলিশ।  তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মানুষ। তার মধ্যেই পুলিশ দাবি করে, জাল্লিকাট্টুর ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলা আন্দোলনে মাওবাদীরা রয়েছে। পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকারীদের যখন প্রশ্ন করা হয়, জাল্লিকাট্টুর জন্য অর্ডিন্যান্স জারি হওয়ার পরও আন্দোলন কীসের জন্য, অনেকেই কোনও জবাব দিতে পারেনি। তাদের বক্তব্য রেকর্ড করতে গিয়ে পুলিশ দেখে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সিপিআই (এম-এল), পুথিয়া জননাকরম, রিভল্যুশনারি ইউথ ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার মতো মাওবাদীদের ঘনিষ্ঠ সংগঠনের সদস্য।

গত মঙ্গলবার থেকে মেরিনা বিচে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আজ সকালে মেরিনা বিচ খালি করার উদ্যোগ নেয় তামিলনাড়ু প্রশাসন। সকালে মেরিনা বিচে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরে যাওয়ার বদলে রুখে দাঁড়ান। তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।