নয়াদিল্লি: তাঁকে ডাকা হয়েছিল আরএসএসের সমর্থনপুষ্ট সংস্থা ফোরাম ফর অ্যাওয়ারনেস অব ন্যাশনাল সিকিউরিটি আয়োজিত তিন তালাক নিয়ে আলোচনাসভায় বক্তা হিসাবে। কিন্তু জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজকদের ওপর চাপ দেওয়ার ফলে বক্তাদের প্যানেল থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি নেত্রী সাজিয়া ইলমি।
জামিয়া কর্তৃপক্ষ এমনকী সেমিনারের বিষয়বস্তু তিন তালাক থেকে বদলে 'মুসলিম উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট, ইস্যুস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস' করতেও আয়োজকদের বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাজিয়ার দাবি সঠিক বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা। ঘটনাচক্রে সংগঠনটির পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে আছেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার।
যদিও জামিয়া কর্তৃপক্ষ সাজিয়াকে বাদ দিতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উড়িয়ে বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয় বা তার কোনও বিভাগ ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা নয়। অডিটোরিয়াম ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এমন ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয়বস্তু বা বক্তা বাছাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ভূমিকাই থাকে না।
কিন্তু সেমিনারের আহ্বায়ক শৈলেশ বত্স-এর দাবি, বিষয়বস্তু, বক্তা-তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু অদলবদলের পরামর্শ দেয়। বলা হয়, এমন বিষয় নিয়ে আলোচনার উপযোগী পরিবেশ নেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে।
সাজিয়ার অভিযোগ, সেমিনারে তাঁর থাকায় আপত্তি জানাতে হাজির ছিলেন সেখানকার পড়ুয়ারাও। আয়োজকদের চাপ দেওয়া হয়। প্রথমে আলোচনার বিষয়বস্তু তিন তালাক থেকে বদলে করা হয় নারীর ক্ষমতায়ন। তারপর আমার নাম বক্তা-তালিকা থেকে বাদ পড়ে। প্রথমে আমন্ত্রণপত্রে নাম ছিল আমার। কিন্তু দ্বিতীয়টি থেকে বাদ পড়ে। আয়োজকরা আমায় ডাকার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ বারণ করে দেয়, বলে, উনি থাকলে অনেক সমস্যা হবে।