জম্মু: ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তিলঙ্ঘন করল পাকিস্তান। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের রজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় পাকিস্তানের গোলায় সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেন এবং তিন জওয়ান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীও আছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রজৌরি প্রশাসন নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ৮৪টি স্কুল তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গ্রামগুলি থেকে লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


সেনা সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে রজৌরির ভিম্বর গলি সেক্টরে লাগাতার গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। মৃত্যু হয় ক্যাপ্টেন হরিয়ানার গুরগাঁও জেলার রানসিকা গ্রামের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন কপিল কুণ্ডু (২২), জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলার বাসিন্দা হাবিলদার রোশন লাল (৪২), মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের বাসিন্দা রাইফেলম্যান রাম অবতার (২৭) এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার রাইফেলম্যান শুভম সিংহের (২৩)।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে, দুপুর পৌনে চারটে নাগাদ রাজৌরির মাঞ্জাকোট সেক্টরের নীকা পাঞ্জগ্রেন ও তারকুন্দি গ্রামের কাছে আছড়ে পড়ে ৬টি পাক গোলা। সেখানে কোনও হতাহতের খবর নেই। এই হামলার পরই পাল্টা জবাব দেয় ভারত।

এদিন সকাল ১১টা নাগাদ বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পুঞ্চ জেলায় শাহাপুর সেক্টরে ভারতীয় সেনা ছাউনি ও সীমান্ত-লাগোয়া গ্রাম লক্ষ্য করে গোলাগুলি শুরু করে পাক সেনা।

পাক গুলিতে জখম হয় ইসলামাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শাহবাজ বানো নামে বছর পনেরোর কিশোরী। আহত হন এক জওয়ানও। দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানেও, পাক হামলার সমুচিত জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গুলি বিনিময় হয়।

প্রসঙ্গত, ১৮-২২ জানুয়ারির মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া জম্মু, কাঠুয়া ও সাম্বা এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পুঞ্চ ও রাজৌরিতে পাক গোলাগুলিতে ৮ নাগরিক সহ ১৪ জন প্রাণ হারান।