নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমের জম্মু ও কাশ্মীরে আরও স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে সওয়াল নিয়ে বিতর্কের মুখে তাঁর এই মন্তব্যকে ব্যক্তিগত মত বলে দাবি করল কংগ্রেস। চিদম্বরমের এই মন্তব্যের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালা বলেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রে প্রত্যেক ব্যক্তিরই মতপ্রকাশের অধিকার আছে। কোনও ব্যক্তির মতামত কংগ্রেসের মতামত হবে, এর কোনও মানে নেই। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং সেটাই থাকবে।’


গতকাল রাজকোটে চিদম্বরম বলেন, ‘আমি মনে করি, কাশ্মীরে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া উচিত।’ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা যে পি চিদম্বরম বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে কথা বলছেন এবং আজাদি চাইছেন। তবে এতে আশ্চর্যের কিছু নেই, কারণ তাঁদের নেতাই (রাহুল গাঁধী) ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে স্লোগান সমর্থন করেছিলেন।’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, চিদম্বরমের এই মন্তব্য জাতীয় স্বার্থের বিরোধী। তাঁর এই মত সরকারিভাবে কংগ্রেসেরও অবস্থান কি না, তার ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত দলের।

কাশ্মীর নিয়ে বিজেপি-কে পাল্টা তোপ দেগে সূরজেওয়ালা বলেছেন, ‘কেন্দ্র ও জম্মু-কাশ্মীর সরকার কীভাবে কাশ্মীর সমস্যা সামাল দিচ্ছে, সেটা তাদের ভেবে দেখা উচিত। অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান অপহরণের পর জঙ্গিনেতা মাসুদ আজহারকে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল সরকার। ইউপিএ সরকারের ১০ বছরে কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছিল। আর্থিক কার্যকলাপ ফের চালু হওয়া, পর্যটনের প্রসার, পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছিল। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীরের উন্নয়ন ও স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর জন্য কী করেছে, তার তালিকা দিক।’

সূরজেওয়ালা আরও বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তিপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে একটি নীতি-নির্ধারক দল গঠন করা হয়েছে। এই দলের সদস্যরা ১০ থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে কার্গিল ও লাদাখ সহ জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থা খতিয়ে দেখে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে রিপোর্ট দেবেন।