চেন্নাই: তামিলনাড়ুর পুডুকোট্টাইয়ে যুক্তিবাদী আন্দোলনের নেতা ই ভি রামস্বামী ওরফে পেরিয়ারের মূর্তি ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে এক সিআরপিএফ জওয়ান। রাজ্য বিধানসভায় এ ব্যাপারে ডিএমকে সরব হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী জানান, পেরিয়ার মূর্তিস্থলের ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে এস সেন্থিল কুমার নামে সিআরপিএফের ওই হেড কনস্টেবলকে গতকাল রাতে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ফুটেজে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় তাঁকে মূর্তি ভাঙতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। গত ১৯ মার্চ পুডুকোট্টাইয়ের বিধূতি গ্রামে রামস্বামীর মূর্তি মাথা কাটা অবস্থায় দেখা যায়।
আধাসামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেন্থিল কুমার গত ১৪ মার্চ থেকে ৩০ দিনের ছুটিতে ছিলেন। পেরিয়ার মূর্তি ভাঙার ঘটনায় তাঁকে তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করেছে তারা। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে হায়দরাবাদের বাহিনীর এক হাসপাতালে তার 'স্কিজোফ্রেনিয়া'র চিকিত্সা চলছিল বলেও জানিয়েছে সিআরপিএফ। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই জওয়ান নিযুক্ত ছিলেন ছত্তিশগড়ে। ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। ভেল্লোর, পুডুকোট্টাইয়ে সাম্প্রতিক পেরিয়ার মূর্তি অপবিত্র করার ঘটনাকে 'নিন্দনীয়' বলেন তিনি।
জেরায় সেন্থিল পেরিয়ার মূর্তি নষ্ট করেছে বলে স্বীকার করেছে, জানান মুখ্যমন্ত্রী। পুলিসি তদন্তের উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০১৩-য় নিজের বাড়ির সামনে পেরিয়ার মূর্তি বসানোর বিরোধিতা করে সেটি ভাঙার হুমকি দিয়েছিলেন সেন্থিল।
গত ৬ মার্চ ভেল্লোরে পেরিয়ারের মূর্তির ওপর হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুটি ঘটনাই নিন্দার। মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন, বরেণ্য মানুষদের মূর্তি ভাঙচুরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিধানসভায় ডিএমকে-র অস্থায়ী সভাপতি তথা বিরোধী নেতা এম কে স্ট্যালিন ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার পর রাজ্যে পেরিয়ার মূর্তি নিয়ে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক এইচ রাজার মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, তখনই ওনার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিলে এসব ঘটত না।
রাজা ফেসবুকে পেরিয়ার সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন, যা নিয়ে শোরগোল হয়। পরে অবশ্য সেটি সরিয়ে দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ফেসবুক 'অ্যাডমিন' ওই পোস্টের জন্য দায়ী।