চেন্নাই: ষষ্ঠবারের জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে প্রথম দিনই একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করে দিলেন জয়ললিতা।


সোমবার মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী হলে দুপুর ১২টা নাগাদ নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কে রোসাইয়া। একইসঙ্গে, শপথ নেন আরও ২৮ জন বিধায়ক। রাজনৈতিক তিক্ততাকে কাটিয়ে এবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিল বিরোধী ডিএমকে-ও।

এদিন জয়ললিতার সঙ্গে যে সকল বিধায়করা শপথ নেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন দলে মুখ্যমন্ত্রীর অন্যন্ত বিশ্বস্ত বলে পরিচিত ও পনিরসেলভম। এছাড়া গত বিধানসভা থেকে মোট ১৫ জনকে নতুন মন্ত্রিসভায় রেখে দিয়েছেন জয়ললিতা। পাশাপাশি, তিন জন মহিলা সহ ১৩ জন নতুন মুখ এনেছেন।

জয়ললিতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু লোকসভার ডেপুটি স্পিকার তথা প্রবীণ এডিএমকে নেতা এম থাম্বিদুরাই, জয়ললিতার সহযোগী শশীকলা সহ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন এম কে স্তালিন সহ বিরোধী ডিএমকে-র বহু নেতা।

সমর্থকদের প্রবল জয়ধ্বনির মধ্যে প্রিয় সবুজ শাড়ি পরে মঞ্চে ওঠেন জয়ললিতা। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এর জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়। জয়ললিতা একা নিলেও বাকিদের একসঙ্গে শপথবাক্য পড়ানো হয়।

শপখ নিয়েই কাজ শুরু করে দিল জয়ললিতা প্রশাসন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়া মাত্র নব-নিযুক্ত বিধারয়কদের নিয়ে ফোর্ট সেন্ট জর্জ-এ অবস্থিত সচিবালয় পৌঁছান জয়ললিতা। নির্বাচনী ইস্তাহারে ঘোষণা অনুসারে এদিন বিভিন্ন প্রকল্পকে কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি।

সরকারের প্রথম দিনই পাঁচটি নির্দেশ কার্যকর করেন জয়ললিতা। সর্বপ্রথম ৫০০ দেশী মদের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, দেশী মদের দোকান খুলে রাখার সময় দিনে দুঘণ্টা কমিয়ে দেন। দুই, নতুন সরকারের আশ্বাস, রাজ্যবাসীকে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। তিন, সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের নিখরচায় প্রাতঃরাশ দেওয়া হবে। চার, কৃষকদের ঋণ-ছাড় দেওয়া হবে। পাঁচ, মঙ্গলসূত্র তৈরী করার জন্য প্রত্যেক মহিলাকে পাঁচ গ্রাম করে সোনা দেওয়া হবে।