আয়কর বিভাগের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল, পয়েজ গার্ডেনের বাসভবনে শশীকলার ব্যবহৃত দু’টি ঘর থেকে গোপনে কিছু বৈদ্যুতিন যন্ত্র সরানো হবে। সেই কারণেই আমরা তল্লাশি চালাই। একটি ল্যাপটপ, চারটি পেন ড্রাইভ ও একটি ডেস্কটপ উদ্ধার হয়েছে। গোটা বাড়ি তল্লাশি করা হয়নি।’
জয়ললিতার ভাইপো বিবেক জয়রামন অবশ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা চক্রান্তের কথা মানতে নারাজ। আয়কর বিভাগের তল্লাশি শেষ হওয়ার পর তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা পরোয়ানা নিয়ে তল্লাশি চালাতে এসেছিলেন। আমরা তাঁদের আম্মার ঘরে তল্লাশি চালাতে দিইনি। সেখানে জয়ললিতা থাকতেন। এটা একটি মন্দির। এই তল্লাশিতে আমরা আহত। তাঁরা আম্মাকে লেখা সাধারণ মানুষের চিঠিগুলি নিয়ে গিয়েছেন। এই তল্লাশির পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আছে কি না, তার কোনও জবাব আমার কাছে নেই। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে।’
এআইএডিএমকে-র অন্যান্য নেতারাও বলেছেন, তাঁরা এই তল্লাশিতে আহত। তবে এর জন্য তাঁরা শশীকলার পরিবারের লোকজনকেই দায়ী করেছেন। এআইএডিএমকে সাংসদ ভি মৈত্রেয়ান ট্যুইট করে বলেছেন, ‘আম্মার বাসভবন একটি মন্দির। সেখানে তল্লাশির খবরে আমি গভীরভাবে ব্যথিত।’ তামিলনাড়ু লোকসভার ডেপুটি স্পিকার এম থাম্বিদুরাইও বলেছেন, ‘জয়ললিতার বাসভবন একটি পবিত্র জায়গা। কেউ এই মন্দিরকে অপবিত্র করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। আমি মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আমার মতামত জানাব।’
এই তল্লাশি প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র নারায়ণ তিরুপতি বলেছেন, ‘পয়েজ গার্ডেনে তল্লাশির ঘটনায় আবেগের কোনও জায়গা নেই। আইনানুসারে আয়কর বিভাগের যে কোনও জায়গায় তল্লাশি ও তদন্ত করার অধিকার আছে। তাঁরা সেই কাজই করছেন। প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। কেউ যদি প্রতারণা চাপা দিতে চান, আমরা দেখব যাতে তাঁরা পালিয়ে যেতে না পারেন।’
ডিএমকে মুখপাত্র মনু সুন্দরম আবার বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে প্রথমবার পয়েজ গার্ডেনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সারা বিশ্ব জয়ললিতার অগাধ সম্পদ দেখতে পেয়েছিল। এই তল্লাশির কী ফল হয়, সেটা দেখতে হবে।’