নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা ঝাড়খণ্ডে রামগড় গণপিটুনি মামলায় অভিযুক্ত আটজনের গলায় মালা পরিয়ে বিতর্কে জড়ালেন। ভাইরাল হওয়া ছবিতে প্রকাশ, হাজারিবাগের সাংসদ গত বছর ঝাড়খন্ডে মাংস ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ওই লোকজনকে গতকাল নিজের বাড়ির সামনে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন।


গত বছর জুনে বাজারটান্ড গ্রামের কাছে আলিমুদ্দিন নামে একজনকে আটকে ঘিরে ধরে গাড়িতে গোমাংস পাচারের সন্দেহে পিটিয়ে মারে উন্মত্ত জনতা, গাড়িটি জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় রামগড়ের আদালত স্থানীয় বিজেপি নেতা সহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয়। তাদেরই কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেভাবে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও আত্মপক্ষ সমর্থনে জয়ন্তের ট্যুইটে সওয়াল, রামগড় গণপিটুনি মামলায় রাঁচির আদালত ওদের সাজা স্থগিত রেখে জামিন দিয়েছে। ওদের বক্তব্য গ্রহণ করেছে। মামলার ফের শুনানি হবে।










তিনি এও জানান, আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থার ওপর তাঁর পূর্ণ ভরসা আছে, যারা নির্দোষ, তারা রেহাই পাবে, দোষীদের যথাযথ সাজা হবে বলে তাঁর বিশ্বাস। জয়ন্ত বলেন, আমি বৈধ আইনি প্রক্রিয়াকে সম্মান করছি কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করা হচ্ছে আমার আচরণ নিয়ে। আমি ফাস্ট ট্রাক কোর্টের প্রতিটি অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের রায়ে বারবার আপত্তি জানিয়েছি। আমি খুশি, মাননীয় হাইকোর্ট ফাস্ট ট্রাক আদালতের রায়ের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বিষয়টির শুনানি করতে সম্মত হয়েছে।

ঝাড়খন্ডের বিরোধী নেতা হেমন্ত সোরেন ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিন্দা করেন, ট্যুইটে তিনি আমেরিকার যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তাদের ট্যাগ করে লেখেন, আপনাদের প্রাক্তন পড়ুয়া জয়ন্ত সিনহা ভারতে গোপাচার সংক্রান্ত পিটুনি দিয়ে হত্যার মামলায় অভিযুক্তদের স্বাগত জানিয়েছেন। হার্ভার্ড কি এমন শিক্ষাই দেয়?