বেঙ্গালুরু: কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর প্রায় এক সপ্তাহের টানাপোড়েনের পর গতকাল আস্থা ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ায় বিজেপি। দক্ষিণের রাজ্যটিতে ঘোড়া কেনা-বেচা করে সরকার গড়তে নেমে মুখ পুড়ল বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের আড়াই দিনের মধ্যেই ইস্তফা দিতে হয়েছে বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে। এবার আগামী বুধবার কর্নাটকের কুর্সিতে বসবেন জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। অন্যদিকে, ৭৮ আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ। সেইসঙ্গে সরকারে থাকতে পারেন কংগ্রেসের ২০ জন মন্ত্রী।
সূত্রের খবর, কর্নাটকে কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারে মোট ৩৩ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন। এরমধ্যে জেডিএসের ১৩ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন। সূত্রের খবর, উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর। তিনি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। ঘোড়া কেনাবেচা থেকে দলের বিধায়কদের আগলে রাখার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা গ্রহণকারী ডিকে শিবকুমার হতে পারেন বিদ্যুত্ মন্ত্রী। তিনি সদ্যপ্রাক্তন সিদ্দারামাইয়া সরকারেও এই মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আড়াই দিনের মাথায় রাজ্য বিজেপি সরকার পড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিধায়কদের হোটেলে রাখা থেকে শুরু করে দুই বিদ্রোহী বিধায়য়কে দলের সঙ্গে নিয়ে আসার কাজটা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন তিনি।


কুমারস্বামীর জেডিএস ৩৭ আসনে জিতেছে। বিজেপির ক্ষমতা দখল রুখতে ভোটের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস ও জেডিএস হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
জোট সরকারের চলার পথে কর্তৃত্ব নিয়ে যাতে কোনও লড়াই না হয়, সেজন্য দুটি দলই কৌশল স্থির করছে। বিজেপির দাবি, এই জোট অনৈতিক এবং তা বেশিদিন টিকবে না।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের ভারসাম্য বদায় রাখতে কংগ্রেসের বেশি মন্ত্রী থাকবেন।