নয়াদিল্লি: ২০১০ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিতর্কিত সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে মিলে তাঁর ছেলে অমরিশ ত্যাগীর সংস্থার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করলেন জেডিইউ সাংসদ কে সি ত্যাগী। তাঁর দাবি, ‘আমার ছেলে অমরিশের সংস্থার সঙ্গে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার শুধু কাজের সম্পর্কই ছিল। আর্থিক লেনদেন বা শেয়ারহোল্ডিংয়ের কোনও বিষয় ছিল না। সবটাই তদন্ত করে দেখা যেতে পারে।’


ব্রিটিশ সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই সংস্থার ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, ২০১০ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে জিততে তাদের সাহায্য নিয়েছিল বিজেপি-জেডিইউ জোট।

ভারতে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সহযোগী সংস্থা অভলেনো বিজনেস ইন্টেলিজেন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমরিশ। বিজেপি, কংগ্রেস, জেডিইউ-এর মতো দলগুলি এই সংস্থার সাহায্য নিয়েছে বলে অভিযোগ। ত্যাগীর অবশ্য দাবি, ‘জেডিইউ একটি সামাজিক সংগঠন। আমরা নির্বাচনের সময় সাধারণত অন্য কোনও সংস্থার সাহায্য নিই না। শুধু গত নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরজি আমাদের সাহায্য করেছিলেন। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সিইও-র সঙ্গে আমার বা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কোনওদিন দেখা হয়নি।’

জেডিইউ-এর সঙ্গে অভলেনো বিজনেস ইন্টেলিজেন্সের যোগ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি বলেছেন, ‘২০১০ থেকে কেন এই সংস্থার সাহায্য নিয়েছিল জেডিইউ, তার জবাব দিতে হবে। নীতীশ কুমারের জনপ্রিয়তা এত কমে গিয়েছে, তাঁকে প্রশান্ত কিশোর ও বিদেশি সংস্থার সাহায্য নিতে হচ্ছে।’

অভলেনো বিজনেস ইন্টেলিজেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিমাংশু শর্মা বলেছেন, ‘আমরা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে যোগের কথা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়ক কোনও প্রকল্পের কাজ করিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে গবেষণার কাজ করি আমরা।’