নিউইয়র্ক: আনাহারে ঝাড়খণ্ডের কিশোরীর মৃত্যুকে ঘিরে ওঠা বিতর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানালেন, আধার থাকুক বা না থাকুক, কারও থেকে প্রাথমিক বা মৌলিক সুযোগ-সুবিধা ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। প্রসাদ বলেন, এই ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমি ঝাড়খণ্ড সরকারকে নির্দেশ দিয়েছি।


প্রসঙ্গত, সিমডেগা জেলার ১১ বছরের কিশোরী সন্তোষী কুমারী টানা আটদিন ধরে খেতে না পেয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মারা যায়। অভিযোগ, আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক না হওয়ায়, মৃত কিশোরীর পরিবার তাদের প্রাপ্য রেশন পায়নি।


জানা গিয়েছে, সন্তোষীর পরিবার হতদরিদ্র। খাবারের জন্য গোটা পরিবার জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। মা ও দিদি দিনমজুরি করে দৈনিক ৮০-৯০ টাকা আয় করেন।


স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করতেন সন্তোষী। সেখানে প্রতিদিন মিড-ডে মিলের খাবার পেত সে। কিন্তু, দুর্গাপুজো উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকায় সেই খাবার সে পায়নি। এই ঘটনা প্রকাশ পেতেই চারদিকে তীব্র সমালোচনা হয়।


এই প্রেক্ষিতে এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, আধার আইনের ৭ নম্বর ধারায় প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার সংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত কোনও গরিব মানুষ আধারের জন্য পরিষেবায় বিলম্ব হওয়ার অভিযোগ করেননি। আধার না থাকলেও মৌলিক অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, পূর্বতন সরকার একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে আধার চালু করেছিল। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন আইন তৈরি করেছে।