গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিমডেগা জেলার করিমাটি গ্রামে সন্তোষী কুমারী নামে ১১ বছর বয়সি ওই মেয়েটির মৃত্যু হয়। তার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড যুক্ত না হওয়ায় এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই তাঁরা রেশন পাচ্ছেন না। ফলে খাওয়ার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। সন্তোষী স্কুলে গেলে মিড-ডে মিল খেতে পেত। কিন্তু স্কুলে না যাওয়ায় সে চারদিন খেতে পায়নি। অনাহারেই তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য অনাহারে মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছে। প্রশাসনের দাবি, মেয়েটির ম্যালেরিয়া হয়েছিল। সেই কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের খাদ্যমন্ত্রী সরযূ রায়ের দাবি, রেশন পাওয়ার জন্য আধার থাকা বাধ্যতামূলক নয়।
কৈলি দেবী প্রশাসনের এই দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমার মেয়ের ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হয়নি। ও মৃত্যুর মুহূর্তেও ভাতের জন্য কাঁদছিল। ওর ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে কোনও কাগজে আমি আঙুলের ছাপ দিইনি।’
স্থানীয় এক সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী মালা দেবীও সরকারি দাবির বিরোধিতা করে বলেছেন, সন্তোষীর কোনও রোগ হয়েছিল বলে তাঁর জানা নেই। এরপরেই মালা দেবীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সমাজকর্মীদের অভিযোগ, সন্তোষীর মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করার জন্যই সাসপেন্ড হতে হয়েছে মালা দেবীকে।