রাঁচি: সামান্য কিছু অর্থের লালসায় এক সদ্যোজাতর যৌনাঙ্গ কেটে মেরেই ফেলল ঝাড়খণ্ডের একটি হাসপাতালের হাতুড়ে চিকিত্সক। আসলে সদ্যেজাতকে মায়ের কাছে কন্যাসন্তান হিসেবে প্রমাণ করতেই এই ঘৃণ্য কাজ করে ওই হাতুড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গুড়িয়া দেবী ইটখোরির জয়প্রকাশ নগর এলাকার ওম নার্সিং হোমে ভর্তি হয়েছিলেন।
রুটিন চেক-আপের জন্যই এসেছিলেন গুড়িয়া দেবী। তখন হাসপাতালের চিকিত্সকরা বলেন যে, ভ্রুণের অবস্থা জানতে আল্টাসাউন্ড স্ক্যান করতে হবে। নিজেকে চিকিত্সক বলে দাবি করা অনুজ কুমার সোনোগ্রাফি করে। এরপর সে গুড়িয়া দেবীর স্বামী অনিল পান্ডাকে বলে যে, তাঁর স্ত্রীর গর্ভে রয়েছে কন্যাসন্তান। সন্তান প্রসবের জন্য সিজার করার কথাও বলে অনুজ। ওই রাতের দিকে সিজার করা হয়।
গুড়িয়া দেবী পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এরপরই ওই হাতুড়ে সদ্যোজাতর যৌনাঙ্গটি কেটে দিয়ে পরিবারকে জানায় যে, মেয়ে হয়েছে। কিছু অঙ্গবিকৃতির জন্য মেয়েটি জন্মের পরই মারা গিয়েছে।
কিন্তু গুড়িয়া দেবী সবকিছুই দেখেছিলেন, জানতে পেরেছিলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই চিত্কার চেঁচামেচি জুড়ে দেন নার্সিংহোমে। পুরো ঘটনা পরিবারের লোকজনকেও জানান। হাতুড়ে অনুজ কুমার বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কাজ না হওয়ায় সে পালিয়ে যায়।
গুড়িয়া দেবীর পরিবার পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ সকালে নার্সিংহোমে পৌঁছয়। নার্সিহোমটি সিল করে দিয়ে সদ্যোজাতর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নার্সিহোমটি বেআইনিভাবে চলছিল। এর আগেই রাজ্য সরকার নার্সিংহোমটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল।