জম্মু : ডিজিএমও পর্যায়ের আলোচনায় ২০০৩-এর সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি 'অক্ষরে অক্ষরে' মেনে চলার বিষয়ে সহমত হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। এর এক সপ্তাহ পরেই ফের বিনা প্ররোচনায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপার থেকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করল পাকিস্তান। পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের গুলিতে মৃত্যু হল দুই বিএসএফ জওয়ানের। আজ ভোররাত থেকে জম্মুর আখনূর সেক্টরের প্রাগওয়াল এলাকায় গুলি চালাতে শুরু করে পাক রেঞ্জার্স। ফরোয়ার্ড পোস্টে মোতায়েন দুই বিএসএফ জওয়ান জখম হন।  হাসপাতালে চিকিত্সা চলাকালে তাঁদের মৃত্য হয়েছে বলে বাহিনীর এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন।
নিহত দুই জওয়ানের মধ্যে একজন বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর।


পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের যোগ্য জবাব দেয় বিএসএফ।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলি বিনিয়ম চলছে বলে জানা গেছে।
গত ২৯ মে ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমও পর্যায়ের আলোচনায় জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধ করতে ২০০৩-র সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি 'অক্ষরে অক্ষরে' মেনে চলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিশেষ হটলাইনে দুই সামরিক বাহিনীর কম্যান্ডাররা জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছিলেন। পাক ডিজিএমও-র উদ্যোগেই হটলাইনে ওই আলোচনা হয়েছিল।
গত মাসের ১৫ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সময়ে পাকিস্তানের টানা গুলি চালনার জেরে জম্মু, কাঠুয়া ও সাম্বা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। দুই বিএসএফ জওয়ান ও এক শিশু সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন অনেকে।
দুই দেশের ডিজিএমও-র মধ্যে আলোচনার পর ওই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে আশার আলো জেগেছিল। কিন্তু নতুন করে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, শ্রীনগরে গতকাল পৃথক তিনটি গ্রেনেড হামলায় চার সিআরপিএফ জওয়ান-সহ ৬ জন গুরুতর জখম হয়েছেন।