বর্তমান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য রামা নাগা বলেছেন, আজ জেএনইউ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা টাঙানোর পর আমরা দেখি, আমাদের নাম তাতে নেই। চলতি বিধি অনুসারে আমরা প্রশাসনিক অফিসারের কাছে গিয়ে আমাদের নাম তালিকায় তুলতে যাই। আমাদের বলে দেওয়া হয়, ৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য হওয়ায় নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ৬ মাস ধরে আমাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে প্রশাসন। ২৩ আগস্ট সাজার নির্দেশ বেরয়। জরিমানা দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। সেই সময়সীমা কিন্তু এখনও শেষ হয়নি।ফলে কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের সামনেও আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে।
একই অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ শর্মাও। প্রসঙ্গত, জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নে একমাত্র এবিভিপি সদস্য তিনি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচন সংক্রান্ত নয়া কমিশনার ঈশিতা মানা জানান, নাম বাদ দেওয়ার ব্যাপারে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে হলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের নিজ নিজ প্রশাসনিক অফিসারদের কাছ থেকে আগে ছাড়পত্র পেতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যা মেনে চলতে আইনগত ভাবে দায়বদ্ধ আমরা। প্রশাসনিক অফিসাররা সবুজ সঙ্কেত না দিলে ওঁদের নাম তালিকায় তোলা যাবে না। সুতরাং আগে নিজ নিজ বিভাগে অভিযোগ বা আবেদন পেশ করতে হবে ওঁদের।
প্রসঙ্গত, জেএনইউয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জরিমানা হওয়া ২১ জন পড়ুয়ার আবেদন খতিয়ে দেখে গত সপ্তাহে সকলেই চরম শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে দোষী বলে ঘোষণা করে। যদিও কয়েকজনের জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়।
২০০১ সালের সংসদ জঙ্গি হানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরুকে ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রতিবাদে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে হওয়া অনুষ্ঠানে ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা দায়ের হয়। গ্রেফতার করা হয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কানহাইয়া কুমার সহ তিন ছাত্রকে।