নয়াদিল্লি: 'ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখতে' বুধবার অযোধ্যায় বাবরি কাঠামো ধ্বংসের ২৫-তম বর্ষপূর্তির দিনের রাতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) দুটি হস্টেলে প্রায় একই সময়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, প্রকাশ কারাতের অনুষ্ঠান বাতিল করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কোয়না হস্টেলে রাত সাড়ে নটায় বক্তৃতা ছিল বিজেপি সাংসদ স্বামীর। বিষয় কেন অযোধ্যায় রামমন্দির চাই? সিপিএম শীর্ষনেতার বলার কথা ছিল রিক্লেইমিং দি রিপাবলিক, এই বিষয় নিয়ে। সার্কুলার দিয়ে ডিন অব স্টুডেন্টস জানান, ক্যাম্পাসে শান্তি, সৌহার্দ্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে ৬ ডিসেম্বর রামজন্মভূমি ও বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত আলোচনা, ভাষণের অনুষ্ঠান বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কারাত আলোচনার অনুমতি না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন কারাত। তিনি নিজেও জেএনইউয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া। আলোচনা হতে না দেওয়া 'জেএনইউয়ের ঐতিহ্যের পরিপন্থী' বলে এর তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
স্বামী নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে এক নেটিজেনের পোস্ট রিট্যুইট করেন। সেই পোস্টে বলা হয়েছে, জেএনইউয়ের দ্বিচারিতা। সন্ত্রাসবাদী আফজল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হতে দিল! ডঃ স্বামীর রামমন্দির নিয়ে ভাষণের অনুমতি মিলল না!



স্বামীর সভার আয়োজক বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ। প্রাচী সিংহ নামে তাদের এক সদস্য, যিনি জেএনইউয়ের পড়ুয়াও, বলেন, ২৭ নভেম্বর স্বামীর অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়। গতকাল বিকাল চারটে নাগাদ নোটিস দিয়ে অনুষ্ঠানটি কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে বলে জানানো হয়। অফিস বিকেল পাঁচটায় বন্ধ হয়। আমাদের হাতে বিষয়টি নিয়ে কিছু করার সময় ছিল না। আমরা ওদের দিক থেকে যথাযথ ব্যাখ্যার অপেক্ষা করছি।
তাঁদের সংগঠনটি রাজনৈতিক নয়, বইমেলা, রক্তদান শিবিরের মতো সামাজিক কর্মসূচিতে সামিল হয় বলে দাবি করেন প্রাচী। এ প্রসঙ্গে জেএনইউয়ের শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি আয়েশা কিদোয়াই মন্তব্য করেন, 'সবচেয়ে অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ' নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আলোচনারই জায়গা যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়।