নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিল, পাশাপাশি সেখানকার পড়ুয়াদের একাংশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানোর ঘটনায় ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও।

গত ফেব্রুয়ারিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে বিতর্কিত অনুষ্ঠানে দেশবিরোধী স্লোগান ওঠার অভিযোগে সেখানকার ছাত্র সংসদের তত্কালীন সভাপতি কানহাইয়া কুমার সহ কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা দায়ের হয়েছিল। কয়েক মাস পর দেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরে ফের উত্তেজনা গত মঙ্গলবার রাতের ঘটনায়। সারা দেশে যখন দশেরা উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাথা হাফিজ সঈদ ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির নেতাদের রাবণ সাজিয়ে তাদের কুশপুতুল পুড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশবাসী ক্ষোভ উগরে দিয়েছে, তখনই জেএনইউ ক্যাম্পাসে সরস্বতী ধাবায় মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, নাথুরাম গডসে, মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত স্বাধ্বী প্রজ্ঞা ও বাবা রামদেবের কুশপুতুল পোড়ান একদল ছাত্র, যারা কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআইয়ের সদস্য বলে অভিযোগ। ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করতে কেন্দ্র ব্যর্থ’, দেশজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ‘লাগাতার হামলা’ চলছে, এর প্রতিবাদেই কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।

সম্প্রতি জেএনইউয়ে হয়ে যাওয়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন, সানি দিমান নামে এমন এক পড়ুয়া বলেছেন, বর্তমান সরকারের ওপর আমরা বিরক্ত, এটা বোঝাতেই  কুশপুতুল পুড়িয়েছি। আমরা সরকার, প্রশাসনে দুষ্টের দমন চাই, ছাত্র ও জনগণ-দরদী ব্যবস্থা চাই, এটাই জানাতে চাই।

ঘটনাচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীশ কুমারের কুশপুতুলও পুড়েছে। তিনি বলেছেন, আমরা কুশপুতুল দাহ করার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচির অনুমতি নেওয়া হয়নি। পাল্টা ছাত্রদের দাবি, কুশপুতুল দাহ করা ক্যাম্পাসে রুটিন ব্যাপার। এজন্য আগে থেকে অনুমতি নেওয়ার দরকার হয় না।

প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাসে গুজরাত  সরকার  ও গোরক্ষকদের কুশপুতুল পোড়ানোয় প্রোক্টর পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়ে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের শোকজ নোটিস দিয়েছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। এর এক সপ্তাহের মাথায় মোদীর কুশপুতুল পোড়ানোর ঘটনায় ফের বিতর্কে জেএনইউ।