নয়াদিল্লি:  কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের ‘পোস্টার বয়’ হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান মুজফফর ওয়ানিকে ‘বিপ্লবী’ আখ্যা দিয়ে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খালিদ।প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় বুরহানের। তাঁকেই নিজের ফেসবুক পোস্টে ‘বিপ্লবী’ বলে সম্বোধন করেছেন উমর।




উমর খালিদ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমি যদি পড়ে যাই, সেইসময় কেউ যদি আমার বন্দুক তুলে নিয়ে আমার ওপর গুলি চালায়, তাহলে আমি সেটাকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না’। উমর লিখেছেন, ‘এই কথাগুলো চে গুয়েভারার হলেও, বুরহানও একইরকম ভাবে ভাবত, হয়তো এগুলো ওরও কথা ছিল’। উমর বুরহানের কার্যকলাপের প্রশংসা করে বলেছেন, বুরহান মৃত্যুকে ভয় পেত না, ভয় পেত সেই জীবনকে যা অন্যের দ্বারা পরিচালিত। সেই পরাধীনতাকেই অস্বীকার করেছে বুরহান। সে বেঁচেও ছিল এক স্বাধীন মানুষ হিসেবে, মৃত্যুকেও বরণ করেছে একজন স্বাধীন মানুষ হিসেবে, মন্তব্য উমরের। জেএনইউ-এর ছাত্র ভারত সরকারের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করেছেন, ‘আপনারা কীভাবে একজন মানুষকে ভয় দেখাবেন, যারা নিজেরাই নিজেদের ভয়কে জয় করেছে’।

শুক্রবার কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে বুরহানের মৃত্যুর পর, কাশ্মীরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।সেই অবস্থায় শনিবার উমর খালিদের এধরনের মন্তব্য অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলেছে। এরআগে জেএনইউ ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল খালিদের। প্রসঙ্গত এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ২৫ এপ্রিল খালিদ সহ আরও তিন ছাত্রকে একটি সেমিস্টারের জন্যে বরখাস্তও করে। এছাড়াও খালিদের ওপর কুড়ি হাজার টাকা জরিমানাও আরোপ করা হয়।

এদিকে বুরহান মুজফফর ওয়ানির মৃত্যুর পর শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠা কাশ্মীরে দফায় দফায় চলেছে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ। পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে মারমুখী জনতা। অশান্তির আশঙ্কায় শ্রীনগর সহ উপত্যকার সর্বত্র কার্ফুর সময়কার বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আহত ২০০রও বেশি।