নয়াদিল্লি: জেএনইউ-তে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ওপর মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের   হামলার ৫দিন পরেও নিশ্চুপ দিল্লি পুলিশ। হস্টেলে হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য নেই পুলিশের হাতে। তবে চার জানুয়ারিতে জেএনইউ-এর সার্ভার রুমে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের জড়িত থাকার দাবি করল পুলিশ। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে ছবিও প্রকাশ করা হল সাংবাদিক বৈঠকে। পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবার ১-৫ জানুয়ারি অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর বিরোধিতা করে এসএফআই, আইসা, এআইএসএফ, ডিএসএফ। পুলিশ জানিয়েছে, অনেক পড়ুয়া রেজিস্টার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চার বাম ছাত্র সংগঠন ও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলরা পড়ুয়াদের তা করতে বাধা দেয়।
পুলিশ গত সপ্তাহে হিংসার ঘটনায় নয় সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে। তাঁদের বেশিরভাগই বাম নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংসদের সঙ্গে যুক্ত। যদিও রবিবারের সন্ধেয় মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের রড ও লাঠি নিয়ে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি দিল্লি পুলিশ।
হস্টেল ফি বৃদ্ধি নিয়ে রবিবারের সন্ধেয় মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের হামলার আগের সংঘর্ষের ঘটনায়  দিল্লি পুলিশ চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ঐশি, ওয়াশকর বিজয়, সুচেতা তালুকদার, প্রিয় রঞ্জন, দোলন সবন্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ পটেলের নাম করেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন এবিভিপি-র সঙ্গে যুক্ত বলে খবর। বাকিরা বাম ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত।



পুলিশ বলেছে, ‘জেএনইউ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।ভুল তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আগে থেকেই অশান্তি চলছিল।৩ জানুয়ারি বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে কর্মীদের হেনস্থা করা হয়।সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এফআইআর দায়ের করে। ৪ জানুয়ারিতেও ৪টি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা অশান্তি করে।পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। জেএনইউ কর্তৃপক্ষ সেদিনও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশের দাবি, ৫ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে তিনটের সময় ৪ ছাত্র সংগঠনের তরফে পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালানো হয়।সেই সময় ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষও উপস্থিত ছিলেন।সেই ছবি ধরা পড়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কাউকে আটক করা হয়নি।সন্দেহভাজনদের নোটিস পাঠাবে দিল্লি পুলিশ।
তবে ৫ তারিখে ঐশীদের উপর হামলায় কারা যুক্ত? এখনও প্রশ্নের উত্তর নেই দিল্লি পুলিশের কাছে।