টিকমগড়: খরার ফলে চাষ করা সম্ভব হয়নি, অন্য কোনও কাজও পাননি। অভাবের তাড়নায় আত্মহননের পথ বেছে নেন মধ্যপ্রদেশের টিকমগড় জেলার বারগোলা গ্রামের কৃষক ধনিরাম কুশওয়াহা। খবর পেয়ে পৃথ্বীপুর থানার পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু গরিব পরিবারটি অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েও পায়নি। বাধ্য হয়ে ধনিরামের দেহটি একটি খাটিয়ায় চাপিয়ে দু’কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেলেন পরিবারের লোকেরা।

সংবাদসংস্থা এএনআই ধনিরামের বাবা মিত্থুলালকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘গত তিন বছর ধরে খরার ফলে এই অঞ্চলে আর চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। গত তিনদিন ধরে আমার ছেলে দিনমজুরের কাজ খুঁজছিল। সেই কাজ না পেয়েই ও আত্মহত্যা করেছে।’

টিকমগড়কে ইতিমধ্যেই খরা-কবলিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মনরেগা প্রকল্পে এই অঞ্চলের লোকজনকে কাজ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি যে ভিন্ন, সেটা ধনিরামের পরিণতিতেই স্পষ্ট। গত তিন বছরে টিকমগড়ে ১২০ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সেই তালিকায় ধনিরামের নাম যুক্ত হল।

গত বছর ওড়িশার কালাহান্ডি জেলায় হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে তুলে ১০ কিলোমিটার যেতে বাধ্য হয়েছিলেন দানা মাঝি নামে এক আদিবাসী ব্যক্তি। সেই ধরনের ঘটনাই দেখা গেল মধ্যপ্রদেশে।