আগরতলা: সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক খুনে গ্রেফতার করা হল উপজাতি সংগঠন ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি)-র চার কর্মী।


ত্রিপুরা পশ্চিমের পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষি জানিয়েছেন, ১৬ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। মান্দাই ও খুমুলউং এলাকায় পুলিশের ২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে আইপিএফটি কর্মীরা। তিনি যোগ করেন, পুলিশকে তির-ধনুক, বোতল ও রামদা নিয়ে হামলা করা হয়। তিনি জানান, অন্তত পাঁচটি জায়গায় হামলা চালানো হয়।


প্রসঙ্গত, খবর জোগাড়ের দায়বদ্ধতা চোকাতে গিয়ে গতকাল ত্রিপুরায় নৃশংসভাবে খুন হন শান্তনু ভৌমিক। ২৮ বছরের এই যুবক কাজ করতেন স্থানীয় দিনরাত টেলিভিশন চ্যানেলের হয়ে।


আইপিটিএফ ও সিপিএমের উপজাতি শাখা টিআরইউজিপির মধ্যে মারামারির খবর কভার করতে বুধবার দুপুরে শান্তনু যান আগরতলা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মান্দাই এলাকায়। সেখানেই মোবাইলে মারামারির ছবি তোলার জন্য তাঁর ওপর হামলা চালায় বেশ কয়েকজন আইপিটিএফ সমর্থক। পুলিশ লাঠিচার্জ করলেও বাঁচেননি শান্তনু।


প্রত্যক্ষদর্শী আর এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, প্রথমে শান্তনুর পায়ে লাঠি দিয়ে মারা হয়। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে মাথায় আঘাত করা হয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে। তারপর তাঁর শরীর টেনে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখা হয় স্থানীয় স্টেডিয়ামের পিছনে। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


ত্রিপুরা জার্নালিস্টস ইউনিয়ন এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত চেয়েছে। আজ আগরতলায় আগরতলা প্রেস ক্লাব ও ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন মৃত সাংবাদিকের শেষকৃত্য উপলক্ষ্যে মৌন মিছিল বার করবে।