লখনউ: কে ছিলেন গুমনামী বাবা? এই ছদ্মবেশ ধরেই কি বেঁচে ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে এবার এক সদস্যের বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হল।


উত্তরপ্রদেশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, সম্প্রতি ইলাহাবাদ হাইকোর্টের এক নির্দেশানুসারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিষ্ণু সহায়ের নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিশনের কাজ হবে গুমনামী বাবার আসল পরিচয়ের খোঁজ করা। এই মর্মে গতকালই একটি নির্দেশিকার জারি করেছে অখিলেশ সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, কমিশনের মূল দফতর হবে লখনউতে এবং ফিল্ড অফিস হবে ফৈজাবাদে।

পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বসবাস করেছিলেন গুমনামী বাবা। অনেকেই বিশ্বাস করেন, তিনিই নেতাজি। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট গুমনামী বাবা-কে এক অসাধারণ ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর আসল পরিচয় যাচাই করার জন্য রাজ্য সরকারকে প্যানেল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল।

জানা গিয়েছে, জীবনের শেষ ১০ বছর অযোধ্যা ও ফৈজাবাদে কাটিয়েছেন গুমনামী বাবা। যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস ছিল, তিনিই নেতাজি। গুমনামী বাবার মৃত্যুর পর নেতাজির ভাইজি ললিতা বসু এবং ফৈজাবাদে অবস্থিত সুভাষ চন্দ্র বসু বিচার মঞ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে গুমনামী বাবার আসল পরিচয় যাচাই করার আবেদন জানায়।

আদালত সেই সময় নির্দেশ দিয়েছিল, গুমনামী বাবার ব্যবহৃত জিনিসগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য তিনমাসের মধ্যে একটি স্মৃতিশালা তৈরি করা হোক। পাশাপাশি, একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করারও নির্দেশ দেয় আদালত।