নয়াদিল্লি: গত মাসে ফরিদাবাদে চলন্ত ট্রেনে জুনেইদ নামে ১৭ বছরের ছেলেকে ছুরির ঘায়ে হত্যার ব্যাপারে রেল, হরিয়ানা সরকার ও রাজ্য পুলিশের প্রধানকে নোটিস দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)।


রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান, হরিয়ানা সরকারের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে কয়েকদিন আগে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে মানবাধিকার কমিশন সূত্রে প্রকাশ। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্টে চেয়েছে কমিশন।

গত ২২ জুন দিল্লিতে ঈদের কেনাকাটা সেরে ট্রেনে চেপে খান্ডওয়ালির গ্রামের বাড়ি ফিরছিল জুনেইদ ও তার ভাইয়েরা। ফরিদাবাদের বল্লভগড়ে একদল লোক তাদের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে কটাক্ষ করে বলে অভিযোগ, যা থেকে বাকবিতন্ডার জেরে জুনেইদ ও তার ভাইয়ের ওপর হামলা চলে। ছুরির ঘায়ে মারা যায় জুনেইদ।

ফরিদাবাদের আসাওতির গ্রামের কাছে তার দেহ ফেলে দেওয়া হয়। জুনেইদের দু ভাই হাসিম, শাকিরও মারধরের ফলে আঘাত পায়। তাদের 'দেশবিরোধী', 'গোমাংসভোজী' বলে কটাক্ষ করা হয় বলেও দাবি করেছে দুজনে।


হামলাকারীদের ব্যাপারে সঠিক তথ্য চেয়ে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

এদিকে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত আজ জুনেইদের বাবা-মা জালালুদ্দিন ও সায়রা ও তার দু ভাইকে নিয়ে রাজধানীর কেরল ভবনে দেখা করিয়ে দেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে।

বিজয়ন শোকসন্তপ্ত পরিবারটিকে আশ্বাস দেন, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মহল সব সময় তাঁদের পাশেই রয়েছে। জুনেইদের স্বজনদের যাবতীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও ফেসবুক পোস্টে জানান বিজয়ন। লেখেন, ট্রেন একদল সাম্প্রদায়িক উন্মাদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া জুনেইদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের সব সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।

হরিয়ানার খাম্পি গ্রামে জুনেইদের পরিবার যে স্টাডি সেন্টার তৈরি করছে, তা শেষ করতে কেরল সরকার সাহায্য করবে বলেও জানান বিজয়ন। জুনেইদের মা সাংবাদিকদের বলেন, হরিয়ানা সরকারের কাছে কোনও সাহায্য প্রার্থনা করিনি, শুধু এটাই আবেদন, ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে যেন ছেলেকে ন্যায়বিচার দেওয়া হয়।