নয়াদিল্লি: মাসচারেক আগে মথুরার ট্রেনে ছুরির আঘাতে খুন হয় ১৭ বছরের জুনেদ খান। ইদের কেনাকাটা সেরে ভাইদের সঙ্গে হরিয়ানার ফরিদাবাদের খান্ডওয়ালি গ্রামে ফিরছিল সে। অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত তার পরিবারকে চাপ দিচ্ছে মিটমাট করে নেওয়ার জন্য।

জুনেদ খুনে প্রধান অভিযুক্ত নরেশ কুমার অপরাধের কথা স্বীকার করে। ঘটনার দিনপনেরো পর গ্রেফতারও হয় সে। নরেশ কুমার পালওয়ালের বাসিন্দা, জুনেদের গ্রাম খান্ডওয়ালির খুব কাছে। শোনা যাচ্ছে, খান্ডওয়ালির পঞ্চায়েত প্রধান জুনেদের বাবাকে আদালতের বাইরে বোঝাপড়া করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন, তাতে নাকি দুই গ্রামের মধ্যে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট থাকবে।

যদিও জুনেদের পরিবার এই প্রস্তাব মানতে রাজি নয় বলে খবর।

জুনেদ হত্যার ৬ অভিযুক্তই খান্ডওয়ালির পাশের তিনটি গ্রামের বাসিন্দা। শোনা যাচ্ছে, ওই গ্রামগুলি এ নিয়ে পঞ্চায়েত বসায়। সেখানে কথা হয় মৃত ও অভিযুক্তর পরিবারের আদালতের বাইরে বোঝাপড়া করা নিয়ে। সরপঞ্চরা নাকি সহমত হয়েছেন, মোটা টাকা জরিমানার বিনিময়ে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া উচিত। এর ফলে গ্রামে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় থাকবে।

যদিও জুনেদের বাবা জালালুদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি কখনওই এই বোঝাপড়ায় মত দেবেন না, আদালতে তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।