এমন সময় সিডিটি বেরল যখন গুজরাত ভোটে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির বিন্যাসে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছেন হার্দিক। কংগ্রেসের গুজরাত থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রয়াসে হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তাঁর পাতিদার গোষ্ঠী ভোটে বরাবর বিজেপিকে সমর্থন করে এসেছে। কিন্তু হার্দিকের দাবি, পাতিদারদের সরকারি সুযোগসুবিধা দেয়নি বিজেপি। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলির মতো পাতিদার বা পটেলদেরও সরকারি চাকরি ও কলেজে আসন সংরক্ষণ দিতে হবে।
কংগ্রেস কীভাবে পাতিদারদের সংরক্ষণের দাবি বাস্তবায়িত করতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আলোচনায় চলছে হার্দিক। নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ পাতিদাররা।
গত অক্টোবরেও সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে দাবি করা হয়েছিল, আমদাবাদের এক বিলাসবহুল হোটেলে লোকচক্ষুর আড়ালে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন হার্দিক। পাল্টা হার্দিক দাবি করেন, তিনি ওই হোটেলে ছিলেন ঠিকই, তবে রাহুল নন, তাঁর দেখা করার কথা ছিল আরেক কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলতের সঙ্গে। রাহুলের সঙ্গে তাঁর ওখানে বৈঠক হয়নি।
হার্দিক নিজেই এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, তাঁর বদনাম করতে একটি সেক্স সিডি বের করবে বিজেপি। আজ তিনি বলেন, এটা বিজেপির নোংরা রাজনীতির নমুনা। আমাকে এভাবে হয়ত হেনস্থা করা গেল, কিন্তু এটা কি গুজরাতের মেয়েদের প্রতি অসম্মান নয়? ভিডিও-র মহিলার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, গুজরাতের মেয়েদের এর জবাবে অবশ্যই কিছু করা উচিত।
বিজেপির নাম প্রকাশে নারাজ কয়েকজন নেতা সিডিটি লিক হওয়ার পিছনে তাঁদের হাত নেই বলে জানিয়েছেন।
কংগ্রেস হার্দিকের অভিযোগ সমর্থন করে বলেছে, বিজেপি চাপে রয়েছে। কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। বিজেপি বুঝতে পারছে, তারা জমি হারাচ্ছে। হার্দিকের মতো তরুণ নেতারা আমাদের সঙ্গে আসছেন। তাই এটা হার্দিককে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা।