মুম্বই: আধার কার্ড ইস্যু করেন যাঁরা, তাঁদের কাছে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ব্যাক্তিগত গোপনীয় তথ্যাদি কী ভাবে যে কেউ জেনে যেতে পারেন, সে সম্পর্কে খবর করার জন্য দৈনিক ‘দ্য ট্রিবিউন’-এর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে আধার কর্তৃপক্ষ ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (ইউআইডিএআই)। কিন্তু এতে আদৌ ভীত নন রচনা খায়রা নামে ওই সাংবাদিক। তিনি বলেছেন, যেটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তিনি অনুসন্ধান চালিয়েছেন তাতে আরও অনেক তথ্য বাকি রয়েছে।


খায়রা বলেছেন, আমরা যেটুকু প্রকাশ করেছি তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আমরা আমাদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করে ফেলেছি। এ ধরনের অনুসন্ধানে যে বৈধতা ও সংবেদনশীলতা রয়েছে তা তা বোঝা উচিত ইউআইডিএআই-এর। এখনও পর্যন্ত যা প্রকাশিত হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি তথ্য আমরা পেয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা সেগুলি প্রকাশ্যে আনতে চলেছি।

খইরা বলেছেন, ইউআইডিএআই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এর পাশাপাশি সরকার পুরো ব্যবস্থার ফাঁকফোকর খতিয়ে দেখবে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন খইরা।

তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার প্রতিবাদ হয়েছে সংবাদজগতের বিভিন্ন মহল থেকে। দিল্লি, চণ্ডীগড় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যেভাবে তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছে তাতে তিনি তাঁর সন্তোষের কথাও জানিয়েছেন তিনি। খায়রা বলেছেন, ‘দ্য ট্রিবিউন’ কর্তৃপক্ষ তাঁকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দিচ্ছে।

এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া খায়রার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার তীব্র নিন্দা করে বলেছে, এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর প্রত্যক্ষ আক্রমণ।

‘দ্য ট্রিবিউন’ কর্তৃপক্ষও এক বিবৃতি জারি করে খায়রার পাশে দাঁড়িয়েছে।

‘দ্য ট্রিবিউন’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে  দাবি করা হয়, মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে আধার ডেটাবেস-এ উঁকি দেওয়ার সুযোগ ক্রয়ের প্রস্তাব তাদের দেওয়া হয়েছিল। তথ্য পেতে তাদের লগ-ইনের বিস্তারিতও দেওয়া হয়েছিল।

ইউআইডিএআই অবশ্য আধার তথ্যে ফাঁসের অভিযোগ খারিজ করে দেয়।কিন্তু সেইসঙ্গে তারা জানায়, বাসিন্দাদের সহায়তা করতে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট পদাধিকারি ও রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের ‘খুঁজে দেখার সুবিধা’ দেওয়া হয়েছিল মাত্র। তাও আধার নম্বর দিলে তবেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনা অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজার সুবিধার অপব্যবহারের উদাহরণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করে ইউআইডিএআই। একইসঙ্গে জানায়, বায়োমেট্রিক ডেটার কোনও লঙ্ঘন হয়নি। তা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।