নয়াদিল্লি: ট্রেনে সহযাত্রীর ত্রাতার ভূমিকায় কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দিল্লির কিছুটা আগে ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেসের এক যাত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। আগ্রার ওই তরুণী যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তখন দিল্লির আউটার সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিল ট্রেনটি। ট্রেনের ওই কোচেই ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। তিন ওই তরুণীর সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রেলমন্ত্রী পিযূষ গোয়েলকে ফোন করেন এবং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।


জানা গেছে, গত শুক্রবার আগ্রা থেকে দিল্লি আসছিলেন ওই তরুণী। দিল্লির আউটার সিগন্যালে প্রায় ১৫০ মিনিট দাঁড়িয়েছিল ট্রেনটি। সময়টা প্রায় মাঝরাত।  আচমকাই ওই তরুণী বুকে ব্যাথা অনুভব করেন এবং সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। মধ্যপ্রদেশের গুণার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের গার্ড ও চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিত্সাসংক্রান্ত সাহায্য চান। কিন্তু তাঁকে জানানো হয় যে, এ ধরনের সুবিধা দিতে পারা যাবে না।

বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করেই জ্যোতিরাদিত্য রেলমন্ত্রী ও আগ্রায় ডিভিশনাল ম্যানেজার(উত্তর-মধ্য রেল) ফোন করেন। রাত আড়াইটে নাগাদ অ্যাম্বুলেন্স আসে। সেই অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে যান জ্যোতিরাদিত্যও। হাসপাতালে চিকিত্সকরা জানান, ওই তরুণীকে আনতে আরও দেরী বলে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারত।