গত বৃহস্পতিবার বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, তাঁর বাড়িতে যে রাজমিস্ত্রীরা কাজ করছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ হয় তাঁর। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে আয়োজিত একটি সেমিনারে ওই রাজমিস্ত্রীদের খাওয়ার অভ্যেস দেখে নিজের এই সন্দেহের কথা তুলে ধরেন বিজয়বর্গীয়।
ওই রাজমিস্ত্রীদের চিঁড়ে খেতে দেখে তাঁদের আচরণ অদ্ভূত বলে মনে হয় তাঁর। তাঁর সন্দেহ হয়, ওই রাজমিস্ত্রীরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, বিজয়বর্গীয় ওই সেমিনারে বলেন, আমার সন্দেহ হয় যে, এই রাজমিস্ত্রীরা বাংলাদেশের। আমি সন্দেহ করার দুদিন পরই তাঁরা আমার বাড়িতে কাজ করা বন্ধ করে দেন। আমি অবশ্য এখনও পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করিনি। লোকজনকে সাবধান করতেই সে কথা জানালাম।
বিজয়বর্গীয়র ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই ট্যুইটারে নেটিজেনদের একাংশ বিজেপি নেতাকে একহাত নিয়েছেন। খাওয়ার অভ্যেস দেখে লোকজনের জাত চিহ্নিত করার জন্য তাঁর বিজয়বর্গীয়কে একহাত নিয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ মনে করিয়ে দিয়েছেন, পোহার দাম তুলনামূলক সস্তা এবং এতে খিদেও মেটে। সেজন্য দিনমজুররা এই খাবার খান। আবার অনেকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, বহু ভারতীয়ই সকালের জলখাবার পোহা এবং তা খেতে সুস্বাদুও।
ওই সেমিনারে বিজয়বর্গীয় দাবি করেছেন, একজন বাংলাদেশি জঙ্গী তাঁর ওপর গত এক-দেড় বছর ধরে নজর রেখে চলেছে। তিনি বলেছেন, আমি যেখানেই যাই, ছয়জন সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী সঙ্গে থাকেন। এই দেশে চলছেটা কী? বাইরের লোক এ দেশে ঢুকে এভাবে সন্ত্রাস তৈরি করছে?