এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী কলরাজ মিশ্র। তিনি বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও আমি পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলাম। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বলি, আমার ৭৬ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। আপনারা আমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। গতকাল মোদীর সঙ্গে দেখা করে বলি, আমি পদত্যাগ করতে তৈরি। তিনি সম্মত হন। এরপরেই আমি লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিই।’
গত বছরই মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় কলরাজের বয়স নিয়ে কথা উঠেছিল। মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় ৭৫ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের রাখা হবে না সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে প্রভাবশালী ব্রাহ্মণ নেতা কলরাজকে মন্ত্রিসভায় রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। এবার অবশ্য কলরাজকে অব্যাহতি দেওয়া হল। তাঁর পাশাপাশি বন্দারু দত্তাত্রেয়, রাজীব প্রতাপ রুডি, সঞ্জীব বালিয়ান, ফাগ্গান কুলস্তে ও মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডেও পদত্যাগ করেছেন। মহেন্দ্রনাথ উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতীও পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলে খবর। তবে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিজেপি সূত্রে খবর, কর্ণাটক, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থানের মতো যে রাজ্যগুলিতে কিছুদিন পরেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেই রাজ্যগুলি থেকে দলীয় নেতাদের মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দর যাদব, সহ-সভাপতি বিনয় সহস্রবুদ্ধি, প্রহ্লাদ পটেল, সুরেশ অঙ্গদী, সত্যপাল সিংহ, হিমন্তবিশ্ব শর্মা, অনুরাগ ঠাকুর, শোভা করণ্ডলাজি, মহেশ গিরি ও প্রহ্লাদ জোশীর নাম নিয়ে আলোচনা চলছে।
এরই মধ্যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, জেডিইউ-এর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ফলে জেডিইউ-এর কোনও নেতা সাংসদ আগামীকাল মন্ত্রী হবেন কি না, সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এআইএডিএমকে নেতা থাম্বিদুরাই গতকাল বিজেপি সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ছাড়াও পি বেনুগোপাল ও ভি মৈত্রেয়ন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।