নয়াদিল্লি: ভারতে যে গভীর করোনা সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তার জন্য সরাসরি ভারতীয় জনতা পার্টিকে দায়ী করলেন মধ্যপ্রদশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তাঁর অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে নির্বাচিত কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্যই এই সঙ্কট তৈরি করা হয়েছে। সারা দেশে যখন লকডাউন, তখন স্রেফ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্যই মধ্যপ্রদেশে লকডাউন হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।


সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমলনাথ বলেন, “মধ্যপ্রদেশই দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে কোনও স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই।  শিবরাজ সিংহ চৌহান ২৩ তারিখ শপথ নেন এবং তার পরের দিন থেকেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়।” তাঁর আরও বক্তব্য, “রাহুল জি (গাঁধী) ১২ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এরপরও কেন্দ্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেরি করল। কারণ তাদের মাথায় তখন স্রেফ মধ্যপ্রদেশের সরকার ফেলে দেওয়ার তাগিদ ছিল।” দেশের একাধিক রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশন বাতিল করা হলেও লোকসভা চালু রাখা হল। কারণ, লোকসভা খুলে রেখে বিজেপি বোঝাতে চাইল দেশের সংসদ যদি খোলা থাকে তাহলে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভাও চলতে পারে।


কমলনাথ বলেন, এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে শিবরাজ চৌহান কোনও মন্ত্রিসভা ছাড়া কাজ করছেন। সংবিধান যেখানে মন্ত্রিসভার কথা বলে দিয়েছে সেখানে মধ্যপ্রদেশের মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা করা হচ্ছে। আরও একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, মধ্যপ্রেদেশ সরকার এই সময়ে ৪৫ জন স্বাস্থ্য আধিকারিক ও একজন সচিব নিয়ে কাজ করছেন। মধ্যপ্রদেশে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জনের টেস্ট করা হচ্ছে। স্রেফ শহরাঞ্চলেই করোনা টেস্ট সীমাবদ্ধ, গ্রামাঞ্চলে মানুষের দেখভালই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ কমলনাথের।


প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক দলবদলে বিজেপি-তে চলে যাওয়ায় কমলনাথ সরকারের পতন হয়। যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ওই ২২ জনকে জিতিয়ে আনা বিজেপির পক্ষে কঠিন। রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে কমলনাথের মন্তব্য, “শিবরাজের প্রতি আমার সহানুভূতি রইল। এমন ১০-১২ জন মন্ত্রী নিয়ে তিনি কীভাবে সরকার চালাবেন যাঁরা তাঁর সমালোচনা করত! তিনি এখন তাঁদের নিয়েই মন্ত্রিসভা চালাবেন।”