কাঞ্চিপুরম: তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের কাছে একটি সুপ্রাচীন শিবমন্দির সংস্কারে  কাজের সময় খোঁজ মিলল রাশি রাশি সোনার। প্রাচীন এই সোনাদানা দেখতে ভিড় উপচে পড়ে গ্রামবাসীদের। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে সেই গুপ্তধন বাজেয়াপ্ত করেন। তবে তা করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। সরকারি আধিকারিকরা এ কথা জানিয়েছেন।

উঠিরামেরুরের শিব মন্দিরের সংস্কারের কাজ নিজেদের উদ্যোগেই শুরু করেন গ্রামবাসীরা।  সংস্কারের কাজ চলাকালে কয়েকদিন আগে মন্দিরের গর্ভগৃহে যাওয়ার পথে সিঁড়ির নিচে প্রায় আধ কেজি ওজনের সোনাদানা দেখতে পাওয়া যায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই সোনাদানা সরকারের হাতে তুলে দিতে বলেন।

যদিও ভক্ত ও স্থানীয়রা এক বিরোধিতা করেন।  মন্দিরের সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর তাঁরা একই জায়গায় ওই সোনাদানা রাখার কথা বলেন তাঁরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা নিজেদের হেফাজতে নিতে অনড় থাকেন। আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর আধিকারিকরা প্রচুর সংখ্যাক পুলিশ গ্রামে মোতায়েন করেন এবং প্রাপ্ত গুপ্তধন বাজেয়াপ্ত করেন এবং সিল করা বাক্সে তা নিয়ে যান।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই মন্দির বহু শতাব্দী প্রাচীন। ওই মন্দির চোল আমলের বলে মনে করা হয়। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, সিঁড়ির নিয়ে সোনা রাখা একটি পবিত্র চিহ্ন এবং স্মরণাতীত কাল থেকেই তা চলে আসছে। ওই সোনা যেহেতু মন্দিরের, তাই কর্তৃপক্ষের তা বাজেয়াপ্ত করা বা দখল নেওয়ার কোনও অধিকার নেই, এই যুক্তি দেখিয়ে গ্রামবাসী ও ভক্তরা পুলিশ ও আধিকাধিকারিকদের বাধা দেন।

প্রাপ্ত জিনিস সোনা কিনা, এবং তা কতদিনের পুরানো, তা যাচাই করা হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে রাজস্ব মহকুমা আধিকারিক বৈদ্য বলেছেন, ওগুলি দেখে সোনাই মনে হচ্ছে।

মুদ্রা ও গহনার আকারে প্রাপ্ত সামগ্রীর ওজন ও সেগুলি সোনা কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, স্থানীয়দের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তা খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, ওই সামগ্রী ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাপ্ত সামগ্রীর ওজন প্রায় ৫৬৫ গ্রাম বলে জানা গেছে। মন্দিরকে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সরকারের রাজস্ব আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।