মুম্বই: ট্যুইট-বিতর্কে বোন রঙ্গোলী চান্দেলের সমর্থনে এবার মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তাঁর মতে, কেন্দ্রের উচিত ট্যুইটারকে শেষ করে নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চালু করা।


সম্প্রতি, মোরাদাবাদ-কাণ্ড নিয়ে মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে মুখ খুলেছিলেন রঙ্গোলী। এই প্রেক্ষিতে তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। যার জেরে ট্যুইটার থেকে সাসপেন্ড করা হয় রঙ্গোলীর অ্যাকাউন্ট। তার বিরুদ্ধেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হন কঙ্গনা। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে অভিনেত্রী দাবি করেন, তাঁর বোনকে মিথ্যেভাবে অভিযুক্ত করেছে সুসান খানের বোন তথা জুয়েলারি ডিজাইনার ফারাহ আলি খান এবং পরিচালক রীমা কাগতি-- এই বলে যে রঙ্গোলী না কি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের গণহত্যার কথা বলেছে।





কঙ্গনা আরও দাবি করেন, তাঁর বোন শুধুমাত্র তাদের হত্যা করার কথা বলেছে, যারা চিকিৎসক ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। সব মুসলিমদের হত্যা করার কথা কেউ কখনই বলেনি। এমনকী, কেউ এটাও বলনি যে, ওই সম্প্রদায়ের সকলে চিকিৎসক ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।


কঙ্গনা এ-ও বলেন, যদি কোনও ট্যুইটে এধরনের গণহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে, তাহলে, তাঁরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেবেন। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে লিখেছিলেন রঙ্গোলী, যেখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়ার পথে চিকিৎসক ও পুলিশের পথ আটকে পাথরবৃষ্টি শুরু করে স্থানীয়রা। মেডিক্যাল টিমের চার সদস্য আহত হন। ভাঙচুর হয় অ্যাম্বুলেন্স।


কী ছিল রঙ্গোলীর ট্যুইটে, যা ঘিরে এই বিতর্ক ? একবার দেখে নেওয়া যাক--



রঙ্গোলীর বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের পাশাপাশি, ট্য়ুইটারকেও একহাত নেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস-কে কেউ যদি 'সন্ত্রাসবাদী' হিসেবে উল্লেখ করে সেখানে ট্যুইটার বাধা দেয় না। কিন্তু, একজন প্রকৃত সন্ত্রাসবাদীকে 'সন্ত্রাসবাদী' হিসেবে উল্লেখ করলেই সমস্যা ট্যুইটারের। অথচ, এই ভারত থেকে তারা কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে।


কেন্দ্রের কাছে কঙ্গনার আর্জি, ভারতে ট্যুইটারকে বন্ধ করে নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চালু করা। যেখানে সকলে নিজম্ব মতামত ব্যক্ত করতে পারবে। কঙ্গনা বলেন, আমাদের একটা উপায় বের করতে হবে, যেখানে ট্যুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলিকে এদেশে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়ে নিজস্ব মঞ্চ তৈরি করা।





ভিডিও পোস্টে তিনি ববিতা ফোগতের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন কঙ্গনা। বলেন, জাতীয়তাবাদ নিয়ে কেউ সোচ্চার হলেই তাঁকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কাউকে চাকরি খোয়াতে হচ্ছে, তো কাউকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। যদি ববিতার কিছু হয়, তাহলে কেউ জাতীয়বাদীর হয়ে সুর চড়াবে না। আমি কেন্দ্রকে আবেদন করছি, ওকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য।





সম্প্রতি, ট্যুইটারে পোস্ট করে তবলিগি জামাতের বিরুদ্ধে ভারতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন ববিতা। এর জন্য, বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয়ীকে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও তাতে দমে জাননি এই তনয়া। বৃহস্পতিবার, তিনি রঙ্গোলীর সমর্থনে ফের ট্যুইট করেন। সেখানে লেখেন, আজ চন্দেল দিদি কার লেজে পা দিয়েছে? আজকাল যারাই সত্যি কথা লিখছে, তাদের ওপরই চটে যাচ্ছে ট্যুইটার।