নয়াদিল্লি: কার্গিল যুদ্ধে অস্ত্র-শস্ত্রের সাহায্যে পাকিস্তানি হানাদারদের হারানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যুদ্ধে অসাধারণ বীরত্বের পরিচয় দেওয়ার জন্য পদকও পান। এবার সম্পূর্ণ অন্য লড়াইয়েও জয় পেলেন এই সেনা অফিসার। সাইবার যুদ্ধে তিনি হারিয়ে দিলেন পাকিস্তান ও চিনের হ্যাকারদের। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকানো গেল।


সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ওই অফিসার হঠাৎ বুঝতে পারেন, তাঁর পাসওয়ার্ড হাতিয়ে সিস্টেমে ঢুকে পড়ে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে হ্যাকাররা। তাদের চেষ্টা সফল হলে বহু সংবেদনশীল তথ্য চলে যাবে দেশের শত্রুদের হাতে। দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে হ্যাকারদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেন ওই অফিসার।

পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের সরকারি ওয়েবসাইট ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে। কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিনের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পাকিস্তানের পতাকা ও সেদেশের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইনের ছবি পোস্ট করা হয়। ২০১৬ সালে ভারতের ১৯৯টি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল বলে সংসদে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সাতশোরও বেশি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে এনএসজি-র ওয়েবসাইটও হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। সাইবার হানা ঠেকানোর জন্য নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার ও সেনাবাহিনী।