নয়াদিল্লি: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গুরমেহর কউরের পাশে দাঁড়ালেন কার্গিল যুদ্ধে শহিদ জওয়ান সৌরভ কালিয়ার বাবা এন কে কালিয়া। উল্লেখ্য, গুরমেহরের বাবা ক্যাপ্টেন মনদীপ সিংহও ওই যুদ্ধেই শহিদ হয়েছিলেন। লেডি শ্রীরাম কলেজ ফর উইমেনের ছাত্রী গুরমেহর সোশ্যাল মিডিয়ায় এবিভিপি-র বিরুদ্ধে মন্তব্য পোস্ট করে আক্রমণের একাংশের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছেন।তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণ ও খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এন কে কালিয়া বলেছেন, এক মহিলার মর্যাদা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি হুমকি প্রদানকারীদের শাস্তিরও দাবি করেছেন।





উল্লেখ্য, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজশ কলেজে একটি সেমিনারে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খালিদকে ডাকা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। এবিভিপি-র বিরোধিতার চাপে সেমিনার বাতিল হয়ে যায়। এই ঘটনা ঘিরে এবিভিপি ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনা ঘিরে এখনও উত্তেজনা রয়েছে।

এরইমধ্যে গুরমেহরের ট্যুইট নয়া মাত্রা সংযোজন করে। তিনি মত প্রকাশের অধিকার দমনের অভিযোগ তুলে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

গুরমেহর ট্যুইটার, ফেসবুকে নিজের একটি পোস্টার সহ ছবি পোস্ট করে, যাতে লেখা রয়েছে, আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। এবিভিপি-কে ভয় পাই না। আমি একা নই। ভারতের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী আমার সঙ্গে আছে। সেই পোস্ট ভাইরাল হয়।

এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ট্যুইটে কেজরীবাল বলেছেন, তিনি আজই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে এবিভিপি-র ‘গুণ্ডাগিরি’ এবং ধর্ষণের হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাবেন।

উল্লেখ্য, এরইমধ্যে গুরমেহরের কয়েকমাস আগে পোস্ট করা একটি ভিডিও নিয়েও তাঁকে নিশানা করা হয়। ওই ভিডিও শান্তির আর্জি জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান নয়, যুদ্ধই তাঁর বাবাকে খুন করেছে। সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

এদিকে, গুরমেহরকে ধর্ষণের হুমকি সংক্রান্ত ঘটনায় দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে।